পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আমন্ত্রণে দীঘা জগন্নাথধাম মহাযজ্ঞে উপস্থিত থেকে সনাতনের বিজয় ও সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিল হিন্দুমহাসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা: দীঘায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে স্থাপিত জগন্নাথধাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে মহাযজ্ঞে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছার বার্তা দিল পশ্চিমবঙ্গ অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য কমিটির সদস্যরা । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী আমন্ত্রিত অতিথিদের মূল মঞ্চে উপস্থিত থেকে সমগ্র বিষয়টিকে সনাতনের জয় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেওয়া একটি শুভ উদ্যোগ বলে মন্তব্য করলেন । পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক সরকারী টাকায় দীঘায় জগন্নাথধাম স্থাপনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ডক্টর গোস্বামীর বক্তব্য সারা পৃথিবীতে ধর্ম নিয়ে যখন এত রক্তপাত ও হানাহানি তখন একমাত্র সনাতনী হিন্দু ধর্মই পারে সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কারণ যুগ যুগ ধরে একমাত্র হিন্দু সংস্কৃতিই সারা পৃথিবীকে শিখিয়েছে “বসুধৈব কুটুম্বকম” অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ববাসী একটি পরিবার । ফলে ভারতবর্ষে সরকারী টাকায় মন্দির স্থাপনের বিষয়ে হিন্দুমহাসভার কোন আপত্তি নেই কারণ সরকারী টাকায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ সাবসিডি পেয়ে যদি নিজেদের তীর্থক্ষেত্রে যেতে পারেন তাহলে সনাতনী হিন্দুদের বেলায় সমস্যা কোথায় ? তাছাড়া ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর বিভাজন করাটাও এক অর্থে সাম্প্রদায়িকতার নামান্তর । দীঘায় জগন্নাথধাম স্থাপনের ফলে সমগ্র অঞ্চলে বিকল্প অর্থনীতির মাধ্যমে অঞ্চলের মানুষদের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং রুজিরুটির সংস্থান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

এদিকে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথে ভারতের সব রাজ্যেই এইভাবে সরকারি উদ্যোগে বড় বড় মন্দির গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী । এদিন দীঘা জগন্নাথধাম মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠানে মূল মঞ্চে সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ছাড়াও অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল, সুব্রত চক্রবর্তী, কৃষ্ণানন্দ রায়, সঞ্জয় মান্না সহ বেশ কয়েকজন রাজ্য কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।