পাঁচ স্কুল পড়ুয়া সাহিত্যের পাঠ নিয়ে কথাশিল্পী’র কুঠি বানালো শরৎচন্দ্র’র বাড়িতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রত্যেকটা শুরুরও একটা শুরু থাকে। তা যদি এভাবে হয় তা হলেই চমকে যেতেই হয় পাঠশালার পণ্ডিতদেরও। স্কুল এর জন্য প্রোজেক্ট বানানোর কথা বলা হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদেরকে । শরৎচন্দ্রের কাব্যপ্রীতি ওদের মধ্যে না থাকলেও থার্মোকল দিয়ে পাণিত্রাসের টালির ছাউনি দেওয়া দু’তলা বাড়ি সঙ্গে ‘মহেশ’, ‘পথের দাবী’ সহ একাধিক গ্রন্থকে বানিয়ে এক রকম চমক তুলে ধরলো মফস্সলের ‘বাঁটুল মহাকালী হাইস্কুল’ এর পারমিতা দে, সৌরিত্র দাশ, শুভ দে, তনিকা খাঁটা এবং শান্তনু মন্ডল প্রমুখরা ।
পড়াশোনাতে ছিল না মনোযোগ শরৎ চন্দ্রের । বাবা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়ের চিন্তার শেষ ছিল না গ্রামের পিয়ারী পণ্ডিতের পাঠশালায় ছেলেকে ভর্তি করে দিয়েও। সেই শরৎচন্দ্র সামান্য একটা ফড়িংয়ের জন্যে কি কান্নাটাই না কেঁদেছিল। ছাত্রছাত্রীদের কাছে শরৎচন্দ্রের ছেলেবেলা ও পরবর্তী সময় সাহিত্য গুণাবলি তুলে ধরতে নতুন কিছু চিন্তা ভাবনার কথা শিক্ষক-শিক্ষিকা দের মাথায় আসে । সেইমতন চিন্তাভাবনাটাও শুরু করেনা বাঁটুল মহাকালী হাইস্কুল’ এর শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যেমনটা ভাবনা তার ফলাফল টাও মিলল একেবারে হাতেনাতে ।
পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের উদ্যোগে, বাগনান সাউথ সি এল আর সি র তত্ত্বাবধানে, এবং বাঁটুল মহাকালী হাইস্কুল এর ব্যবস্থাপনায় মাস চারেক আগে ব্যবস্থা করা হয় একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণের। স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে দলবেঁধে পৌঁছে যাওয়া ইতিহাস বিজড়িত কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পানিত্রাসের বাড়িতে।