পুলিশের জালে ফাঁসিয়েছিলেন খোদ গ্যাংস্টারকেই ! মডেল খুন হল জামিনে বাইরে বেরতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কর্মজগতে মডেল হিসাবে পরিচিত হলেও, ২৭ বছরের দিব্যা পাহুজার অন্য আরেকটি পরিচয় ছিল, কুখ্যাত গ্যাংস্টারের প্রাক্তন প্রেমিকা তিনি। ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় জেলেও গিয়েছিলেন দিব্যা। সেই প্রেমই কী বিপদ ডেকে আনল? হোটেলে খুন হলেন মডেল দিব্যা পাহুজা। গুরুগ্রামের একটি হোটেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেল মালিক ও দুই যুবককে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেল থেকে রহস্যজনক অবস্থায় এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায়, ওই যুবতীর নাম দিব্যা পাহুজা। ২৭ বছরের ওই যুবতী পেশায় মডেল। তবে তিনি সন্দীপ গাদোলি নামক এক গ্যাংস্টারের ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় বিগত ৭ বছর ধরে জেলে ছিলেন। সম্প্রতিই জামিনে মুক্তি পান তিনি।
গুরুগ্রাম পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে হোটেল থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়, ওই হোটেলের মালিক অভিজিৎ ও হোটেলের দুই কর্মী প্রকাশ ও ইন্দ্রজকে গ্রেফতার করা হয়েছে খুনের অভিযোগে। দিব্যার দেহ লোপাটের জন্য হোটেল মালিক ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। খুনের পর অভিযুক্ত তিনজন একটি বিএমডব্লু গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। ওই গাড়ির ডিকিতেই ভরা ছিল দিব্যার দেহ। তবে খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি।
গোটা ঘটনাটিই হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেখান থেকেই রহস্য উদ্ধার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে এও দেখা গিয়েছে, ২ জানুয়ারি ভোর ৪টে নাগাদ হোটেল মালিক অভিজিৎ, এক যুবতী ও আরেক ব্যক্তি হোটেল আসেন। ১১১ নম্বর রুমে যান তাঁরা। রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দেখা যায়, অভিজিৎ ও অপর দুই যুবক দিব্যার দেহ চাদরে মুড়িয়ে টেনে-হিচড়ে বের করে আনছে। হোটেলের বাইরেই দাঁড়ানো বিএমডব্লুতে দিব্যার দেহ তোলা হয়।
ওই সিসিটিভি ফুটেজ ধরেই পঞ্জাব সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। দিব্যার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎ ও অপর দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল দিব্যা পাহুজা। পুলিশকে গ্যাংস্টারের খোঁজ দিব্যাই দিয়েছিল বলে দাবি। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে জেলবন্দি ছিলেন দিব্যা। গত বছরের জুন মাসে বম্বে হাইকোর্ট দিব্যাকে জামিন দেয়। এদিকে দিব্যার পরিবারের আরও অভিযোগ, গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির বোন সুদেশ কাতারিয়া ও তাঁর ভাই ব্রহ্ম প্রকাশই দিব্যাকে খুনের ছক কষেছিল। অভিজিৎকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল।