প্রকাশ্যে এলো ট্যাব কেলেঙ্কারি, চোর’ ধরতে জেলায় জেলায় জারি গ্রেফতারি, অবশেষে পাকড়াও ৪ অভিযুক্ত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আসছে না ট্যাবের টাকা। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান, সর্বত্র একই ছবি। অভিযোগ, পড়ুয়ারাদের অ্য়াকাউন্টে টাকা ঢোকার আগেই মাঝপথে হয়ে যাচ্ছে গায়েব। দিকে দিকে ক্ষোভ। রাস্তায় নেমেও বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় বহু স্কুলের পড়ুয়াদের। এবার এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। হাসান শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ট্যাব কেলেঙ্কারি যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে ট্যাব কাণ্ডে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর দিনাজপুর থেকেই।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মালদহের বৈষ্ণবনগক থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নামে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তাতেই মেলে সাফল্য। বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় একজনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ব্যক্তির সাইবার ক্যাফে রয়েছে। সেখান থেকেই টাকা গায়েবের অপারেশন চলতো বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। অন্যদিকে চোপড়া ও ইসলামপুর থানা এলাকা থেকে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধরা পড়েছে আশারুল হোসেইন। বাড়ি ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকায়। বাকি দু’জন সাদ্দিক হোসেইন ও মোবারক হোসেইন। বাড়ি চোপড়া থানার দাসপাড়া এলাকায়। এদের সকলের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য , বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে চাপ বাড়ছিল প্রশাসনের উপরেও। ময়দানে নামে নবান্ন। সোমবারই হয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে হওয়া সেই বৈঠক থেকে আসে একাধিক নির্দেশ। ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। কী করে সিস্টেমকে আরও উন্নত করে যায়, কীভাবে আরও সহজে কিন্তু নিরাপত্তা বাড়িয়ে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো যায়, এ ক্ষেত্রে স্কুলগুলির ভূমিকা কী হতে পারে তা বিশদে পর্যালোচনা হয়। তারমধ্যেই এবার গ্রেফতারি ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা।