প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হল শিশুরাও, প্রতিবাদের জোর বাড়ছে শিলিগুড়িতে
শিলিগুড়ি : শিল্পী এবং সাহিত্যিকের শুরু হওয়া প্রতিবাদ মিছিলে প্রতিবাদে যোগ দিলেন শিশুরাও, বাঘা যতীন পার্ক থেকে মোমবাতি মিছিল শুরু হয়ে শেষ হলো কোট মোড়ে। রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় কেউই বেশি দূরে যেতে চাননি নি। প্রতিবাদে ছিলেন শিলিগুড়ির তাবড় সাহিত্যিক সংগীতশিল্পী এবং নিত্য শিল্পীরা। প্রত্যেকেই এক সুরে সমযোগে প্রতিবাদ করলেন এই জঘন্য নরকীয় হত্যাকাণ্ডর। সবাই জানালেন যতদিন না পর্যন্ত অত্যাচারী এই হত্যাকারী শাস্তি পাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাদের এই প্রতিবাদ চলবে।
এই মিছিলে দেখা গেল ছোটদের দেরও। ব্যানার নিয়ে তারা মিছিলের সামনে ছিলেন। জিজ্ঞেস করলে সে বলল শুনেছে এক দিদি মারা গেছে দিদিকে মেরে ফেলা হয়েছে তাই সে প্রতিবাদ করতে এসেছে। ক্লাস থ্রিতে পড়া এই ছাত্রের মুখে এই কথা শুনে অবাক হতেই হয়। আরজিকরের ঘটনা যে নাড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গবাসীকে সব থেকে বড় কথা প্রতিটি শ্রেণীর প্রতিটি বিভাগের মানুষকে সেটাই গত ১৫ দিন ধরা মিছিলই প্রমাণ করে দেয়। কবে এই সমস্যা মিটবে কেউ জানে না, তবে সমস্যা না মিছিলে যে এই আগুন নেভার নয় এটা বুঝে গেছেন সবাই। মিছিলে মৌনতা আর তীব্র আকার ধারণ করে নিয়েছে জঘন্য নরকীয় হত্যাকাণ্ডের কারনে।
ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক, রিক্সাওয়ালা থেকে মাছ ওয়ালা, ফুল ওয়ালা থেকে টোটো ওয়ালা সবারই একটাই দাবি যেভাবেই হোক অত্যাচারীকে শাস্তি দিতে হবে। এজন্য তাদের পরিবারের সমস্যা, তাদের পরিবারে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা, তাই শাস্তি কাম্য এবং প্রাপ্য এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা অত্যাচারী কিংবা অত্যাচারীদের। আমরা সবাই এক হয়ে সমস্বরে প্রার্থনা করছি যেন অত্যাচারীর জঘন্যতম শাস্তি হয়। জঘন্যতম কাজের বিচার হয় ।এদিন মিছিলের সামনে এবং পিছনে ছিলেন মহিলারা, তারাও একই ভাষায় কথা বলছেন ঘরের সমস্ত কাজকর্ম ছেড়ে আপাতত এটাই বাংলার ভবিষ্যৎ, তারপর কি হবে সময়ই বলে দেবে,।