প্রলোভনের ফাঁদ পেতে ঘনিষ্ঠতা, ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল, মালদায় আত্মঘাতী হল যুবক, পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন স্ত্রী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রথমে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ঘনিষ্ঠতা, তারপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক। পরে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি, ভিডিয়ো, চ্যাট, দেখিয়ে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইল। অবশেষে ব্ল্যাকমেইলের চাপে মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের বামোনগোলায়। এমনকি গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত মহিলাও । মৃত যুবকের স্ত্রী মালদা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় । পুলিশ সুপার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বামোনগোলা থানার আইসিকে। জোর কদমে অভিযুক্তর খোঁজে নেমেছে পুলিশ। যদিও তার আগে তিনি বামোনগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযুক্ত মহিলা গ্রেফতার না হওয়া, তদন্ত থমকে থাকায় তিনি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। সেখানে আবার অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মনোজিৎ মণ্ডল।

অভিযোগ, প্রথমে সামাজিক মাধ্যমে আলাপ, তারপর ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি আদানপ্রদান, ভিডিয়ো, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ইত্যাদি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন প্রতিমা বিশ্বাস নামে এক মহিলা । মৃতের স্ত্রী যুথিকার অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে দিনের পর দিন ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হত। মোটা টাকা আদায় করতেই থাকতেন প্রতিমা। উত্তররোত্তর তাঁদের চাপ বেড়েই চলেছিল, লোভের সঙ্গে বাড়ছিল টাকার অঙ্কও। এই পরিস্থিতিতে নদীর ধারে গিয়ে কীটনাশক খান মনোজিৎ।
এদিকে আত্মহত্যার আগে নিজেই মোবাইলে একটি ভিডিয়ো করেন মনোজিৎ। আত্মহত্যা করে মৃত্যুর আগে কীটনাশক খাওয়ার সেই ভিডিয়ো অভিযুক্ত প্রতিমা বিশ্বাসের নির্দিষ্ট নম্বরে পাঠান। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি তুলেছে এমনকি এলাকার মানুষও। অন্যদিকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা। তবে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিশেষ তৎপর বামোনগোলা থানার পুলিশ। যোগাযোগ করা হয় গাজোল থানাতেও।