প্রসূতির কিডনি পাচার করার অভিযোগ সিজারের সময় ! প্রকাশ্যে এলো বর্ধমানের চিকিৎসকের এক মহান কুকীর্তি

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অ্যাসেসর হিসেবে বেসরকারি একটা মেডিক্যাল কলেজের পছন্দমতো রিপোর্ট পেশ করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে সিবিআইয়ের হাতে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েন চিকিৎসক তপন কুমার জানা । মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার পাশাপাশি কিডনি পাচারেরও অভিযোগ আছে ৷ মূলত কলকাতার একটা বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে ওই মহিলার একটা কিডনি নেই বলে জানা যায় । অবশেষে সেই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই । পরে জানা যায় , ওই মহিলার অপারেশন করেছিলেন চিকিৎসক তপন কুমার জানা।

এদিকে রাতভর চিকিৎসকের বর্ধমানের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায় সিবিআই । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান , ওই চিকিৎসক মিঠাপুকুর এলাকায় প্রায় ১৫ বছর বসবাস করলেও কারও সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না । এমনকি রাস্তায় বের হলেও তিনি কারও সঙ্গে কথা বলতেন কিনা সেই দৃশ্য কেউই মনে করতে পারছেন না । পাশাপাশি অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান হিসেবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও তার বেশ দাপট ছিল বলে জানা গিয়েছে । প্রতি মাসে তিনি বেশিরভাগ দিনই কলেজ কামাই করলেও কেউ কিছু বলার সাহস পেত না বলেও জানা গেছে ।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পাশাপাশি তিনি জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিল (NMC)-র অ্যাসেসর বা মূল্যায়নকারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন । একজন অ্যাসেসরের কাজ হল তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গার মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবেন । তারপর কলেজের মান অনুযায়ী রিপোর্ট পেশ করবেন । অ্যাসেসরের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজগুলির স্বীকৃতি থাকবে কি না সেটা নির্ভর করে । অর্থাৎ, রিপোর্টের ভিত্তিতেই জানা যাবে সেই সব কলেজে এমবিবিএস পড়ানো যাবে কিনা, সেখানে কত সিট খালি আছে সমস্ত কিছু ।

তপন কুমার জানার বিরুদ্ধে আরোও অভিযোগ তিনি অ্যাসেসর পদে থেকে কর্ণাটকের বেলগাভির একটা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে দশ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কলেজটিকে সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়ে কর্তৃপক্ষের পছন্দমতো ভুল রিপোর্ট দেন । সেই অভিযোগ জমা পড়তেই তদন্তে নামে সিবিআই । অবশেষে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত চিকিৎসক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *