প্রয়াণ দিবসে একরকম অন্তরালেই থেকে গেলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দূর্বা ঘাসের গা ঘেঁষে লাল মাটির প্রলেপ দেওয়া রাস্তা। দুইপাশে বৃষ্টি ভেজা ধানি জমি। এখানে বাঁশ বাগানের পাতার ফাঁক গলে সূর্যের প্রথম কিরণ পড়ে। জেলার শেষ প্রান্ত হলেও ২৯ অগস্ট দিনটি কাজী নজরুল ইসলামের ছবিতে মালা পড়িয়ে মৃত্যু দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেছে বাকসি এলাকার ছোট-বড় সকলে। সঙ্গে পাঠ করা হয়েছে কবির সময়কার স্মৃতির প্রতিচ্ছবি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধরা পড়লো ভিন্ন ভিন্ন ছবি। কোথাও গাঁদার মালা দেওয়া হল নজরুলের মূর্তিতে । আবার কোথাও রয়ে গেলেন কাঁচের বাক্সে ঘেরাটোপের মধ্যে। বৃষ্টি বাদল দিনেও নজরুলের গানে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে শুরু হলো নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ অভিযান। তবুও নিজেদের আক্ষেপ দেখিয়েছেন প্রবীণ নাগরিকরা। তাঁদের কথায়, “বাংলা কবিতা আধুনিক হয়েছে যার কলমে আজ তিনি অনেকটাই বহু দূরে সমাজের থেকে। ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ এখনও পড়লে মন ভরে ওঠে। দেশের কঠিন পরিস্থিতির সময়ে একাধিক লেখনী উঠে এসেছে তাঁর কলমে। তবুও তাঁর প্রয়াণ দিবসে এক রকম আড়ালে থেকে গিয়েছে সমস্তটাই।”
এ দিন কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে জেলার একাধিক স্কুলে। কবিতা পাঠ, সঙ্গীত, স্মৃতি কথাও পাঠ করা হয়। বাঁটুল মহাকালী হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাল্যদান করেন কবি’র মূর্তিতে। তবে কাজী নজরুলের মূর্তিতে মালাটুকু দেওয়া হয় নি বাউড়িয়া বুড়িখালি ক্ষেত্রমোহন ইনস্টিটিউশনের সামনে রাস্তার ধারে কাঁচে ঢাকা মূর্তিতে। এমনটা হল কেন ? ! এলাকার মানুষদের প্রশ্ন করা হলে উত্তর আসে আমতা-আমতা করে। অনেকের কাছেই অচেনা থেকে গেছে এই দিনটি ।