বর্ধমানের প্রফেসরের বিরুদ্ধে উঠলো ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ , জামিন মিলল গ্রেফতারির পরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বর্ধমানের রাজ কলেজের এক শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলো ছাত্রী ও তার মায়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগে। এদিকে পুলিশ ছাত্রীর বাবা ও মাকেও গ্রেফতার করেছে শ্লীলতাহানির পাল্টা অভিযোগে। আরও জানা গেছে ওই ছাত্রীর বাবা বর্ধমানের একটি টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যাপক। বর্ধমান শহরের টাউনহল পাড়ায় ওই ছাত্রীর বাড়ি। বর্ধমান শহরের ইন্দ্রকানন এলাকায় রাজ কলেজের শিক্ষকের বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ কলেজের ওই শিক্ষক প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন।
আরও জানা গেছে প্রায়ই তিনি হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতেন ওই ছাত্রীর সঙ্গে । ছাত্রী পড়াশুনার বিষয়ে অধ্যাপকের কাছে জানতে চাইতেন চ্যাটের মাধ্যমে। রবিবার রাতে এমনকি তিনি ফোন করে জানান পরেরদিন ছাত্রীর বাড়িতে আসবেন বলে। সেইমতো তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ। বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ওই অধ্যাপক গল্প করেন ছাত্রীর বাবা, মায়ের সঙ্গেও। ছাত্রীর বাবা কিছুক্ষণ পর কলেজে চলে যান। এরপর রাজ কলেজের ওই শিক্ষক জানান ছাত্রী ও তাঁর মায়ের রক্তচাপ মাপবেন বলে। তাতে তাঁরা রাজি হন। অভিযোগ উঠেছে এরপর রক্তচাপ মাপার নাম করে তিনি ছাত্রী ও তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানি করেন বলে।
যদিও রাজ কলেজের ওই শিক্ষকের আরও পাল্টা অভিযোগ, বাড়িতে এসে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে ওই ছাত্রীর পরিবার। এমনকি টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক ওই ছাত্রীর বাবা তাঁর স্ত্রীরও শ্লীলতাহানি করেন। তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। পুলিশ চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে আদালতে তোলে দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই। ধৃতদের আইনজীবীরা আদালতে জানান, ঘটনার উত্পত্তি ভুল বোঝাবুঝি থেকেই। এরপর ধৃত চারজনেরই বক্তব্য শোনেন সিজেএম। তাঁরা জানান নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটে গিয়েছে বলেও। ধৃতদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন এমনকি দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে।