বাড়ির পিছনে জমা জলে পড়েছিল সাত বছরের মূক-বধির শিশু, সন্দেহ জোরালো হল মায়ের ভূমিকায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাড়ির পেছনে জমা জল থেকে এক মুখ বধির শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। কী কারণে এই শিশুর মৃত্যু, এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে করিমপুর থানার পুলিশ। মৃত্যুর কারণ জানতে মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। নদিয়ার করিমপুর থানা কাঠালিয়া এলাকার ঘটনা।একরত্তি বোবা মেয়ের বাড়ির পাশে পুকুরের জলে দেহ উদ্ধার। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক বাড়িতে থাকে না। মা তাপসী সরকার সাত বছরের শিশুর দেখভাল একাই করতেন। বুধবার সকালে সেই শিশুরই দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির পিছনের জমা জল থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শিশুটি বোবা, কথা বলতে পারত না। কর্মসূত্রে ভিনদেশে থাকেন ওই মহিলার স্বামী। তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে জল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।

প্রথমে প্রতিবেশীরাই দেহটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে জল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় করিমপুর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। গ্রামবাসীদের দাবি, জলের মধ্যে ডুবে মৃত্যু হলে যে সকল নমুনা লক্ষ্য করা যায় তা এই শিশুটির এক্ষেত্রে ছিল না। তাহলে কি শিশুটিকে কে খুন করে জলে ফেলে দিয়েছে? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ‌ আসে করিমপুর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। তবে কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে করিমপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *