বিক্ষিপ্ত অশান্তি বিধাননগরে, এমনকি অভিযোগ ভুয়ো ভোটার, অবৈধ জমায়েতেরও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কড়া নিরাপত্তার বেষ্টণীতে ভোট চলছে পুরনিগমে। সকাল থেকেই পুরনাগরিকরা লাইনে দাঁড়িযে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে ।এমনকি সকলেই বেছে নিতে চাইছেন নিজের এলাকার পুরপ্রতিনিধিকে।বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে বেশ কিছু জায়গায়। মোট ১৩ টি বুথ রয়েছে হাতিয়াড়ার এফ পি স্কুলে। অভিযোগ, এই স্কুলে বুথের মধ্যে অবৈধ জমায়েত হয় পুলিসের সামনেই। চা দেওয়ার নাম করে ভিতরে প্রবেশ করে এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের রিলিভার এজেন্টরা। কেউ বা আবার ভোটারদের বুথের ভিতরেও নিয়ে যায় ।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বিধাননগর পৌরনিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটারদের প্রভাবিত করারও। অটোতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।বিধাননগর পুরনিগমের ১৪নং ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করারও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । এদিকে কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে একাধিক বুথে বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করা।পাশাপাশি ভুয়ো ভোটার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বিধাননগর পুরনিগমের সিএফ ব্লকের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। বিরোধীরা প্রতিবাদ করায় অভিযোগ ওঠে দৌড়ে পালানোর । সন্দেহ হয়েছিল এক জনকে নিয়ে। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সদুত্তর না মেলেনা। সিএফ কমিউনিটি হলের মধ্যে জমায়েত করা ৩০ জন দৌড়ে পালায় । বিধাননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করছেন ভুয়ো ভোটারের, তিনি নিজেই ধরেছেন.১ ভুয়ো ভোটারকেও।
পুরভোট ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকেও। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বচসা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় । ২ দলের প্রার্থীর মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতিও হয় । বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ৩২ ওয়ার্ডে বিজেপি ক্যান্ডিডেটের হয়ে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুথে বসে থাকার অভিযোগ করে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টের বিরুদ্ধে । তবে চিফ এজেন্টের দাবি উনি কাজ করছেন আইন মেনেই।