বিজেপির এই হারের জন্য দায়ী মাদারি হাটের মানুষের অভিশাপ বললেন জন বাড়লা
নিজস্ব সংবাদদাতা: অহঙ্কারেই এই পতন। ১৬ শতাংশের বোনাস চুক্তিতে সায় দিয়ে শ্রমিকদের অভিশাপের খেসারত দিতে হল মাদারিহাট উপ নির্বাচনে পরাজয়ের মাধ্যমে। বাইরের নেতারাই তো সব। আমরা কি আলু ছোলার জন্যে? আমাকে সেখানে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি সাংসদ রাজু বিস্ট বলা সত্ত্বেও।’ মাদারিহাটে পরাজয়ের পর মনোজ টিগ্গাকে নাম না করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা।
মাদারিহাটে হারের পর দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বারলা। উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর টেলিফোনে উত্তরবঙ্গ সংবাদকে বারলা প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন, পরোক্ষে মনোজ টিগ্গাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ওখানে বিজেপির প্রার্থী ভালোই ছিল। কাল হয়ে দাঁড়ালো অহংকার। আমিই এমএলএ, আমিই এমপি, আমিই জেলা সভাপতি। কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা পর্যন্ত করেনি। চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে ওঁরা এবার কাঁদিয়েছে। এর ফল শ্রমিকরা দিয়ে দিয়েছে ভোটের বাক্সে।’ বারলার সংযোজন, ‘মাদারিহাট কেন্দ্রে রামঝোড়া, দলমোড়ের মত চা বাগান বন্ধ রয়েছে। একদিনের জন্যেও উনি(পড়তে হবে মনোজ টিগ্গা) ওই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন? ২৫ থেকে ৩০টি চা বাগান নিয়ে গঠিত ওই আসনে শ্রমিকদের বিপাকে ফেলে জয় লাভ কোন মতেই সম্ভব নয়। লোকাল নেতাদের প্রাধান্য না দিয়ে কলকাতা, বিহার থেকে নেতা নিয়ে আসার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে।’
বারলার দাবি, গত লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দিলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯ এর চেয়েও বড় মার্জিনে তিনি জিততেন বলে জানাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে মাদারিহাটে উপ নির্বাচনেরও দরকার হত না। ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে বিজেপির কপালে বড় দূর্ভোগ লুকিয়ে আছে বলেও জানাচ্ছেন। বর্তমানে যারা বিধায়ক রয়েছেন তাঁদেরই আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে প্রার্থী করা হলে একজনও জিততে পারবেন না বলে বারলার সাফ কথা।