বিশেষ প্রশিক্ষণ যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে , বিস্ফোরক খুঁজতে কলকাতা পুলিশের একমাত্র ভরসা এই সারমেয় জুটি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে যুদ্ধের আবহ ৷ গোলাবারুদে অগ্নিগর্ভ ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকা ৷ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সমস্ত রাজ্যকে ৷ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা । সেই মতোই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে মক ড্রিল ৷ পাশাপাশি কোথাও কোনও বিস্ফোরক লুকনো আছে কি না, সন্দেহজনক কোনও গতিবিধি হচ্ছে কি না, তা দেখতে চলছে বিশেষ নজরদারি । আর এই কাজের জন্য প্রস্তুত হতেই এখন দম ফেলার ফুরসৎ নেই ঋত্বিক ও কাজলের ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের অন্যতম ভরসা তারাই ৷
যেমন দৃপ্ত তাদের চলাফেরা, তেমনই তীক্ষ্ণ নজর ৷ বিস্ফোরক শনাক্তকরণে তারা সিদ্ধহস্ত ৷ তবে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে তাদের দক্ষতা আরও বাড়াতে চলছে বিশেষ প্রশিক্ষণ ৷ তীব্র গরমেও কসরতে কোনও কসুর বাকি রাখছে না ঋত্বিক ও কাজল ৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে তারা যাতে নিজেদের সেরাটা তুলে ধরতে পারে, সেজন্য বাহিনীর জওয়ানদের মতোই চলছে কড়া প্রশিক্ষণ ৷ তবে কঠোর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের পাশাপাশি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে তাদের খাওয়া-দাওয়ার দিকেও ৷ রয়েছে বিশেষ ডায়েট প্ল্যান ৷ চাঁদিফাটা রোদ্দুরে কসরতের পর যাতে কোনও ভাবেই তারা অসুস্থ হয়ে না-পড়ে, সেজন্য নিয়ম করে তাদের যত্ন নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ ৷

সূত্রের খবর , সারমেয়গুলিকে মূলত একাধিক ঘিঞ্জি এলাকায় নিয়ে গিয়ে মক ড্রিলিং করানো হয় । প্রতিকূল অবস্থায় ভিড়ের মধ্যে গিয়েও তারা যাতে বোমা খুঁজে বের করতে পারে, সেজন্যই এভাবে মক ড্রিল চলে । তবে শুধু বোমা নয়, বরং বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও একাধিক অত্যাধুনিক বিস্ফোরক মশলাও শনাক্ত করানো হয় এদের দিয়ে । তার জন্যও চলে বিশেষ প্রশিক্ষণ ৷ এছাড়া যে এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে, এরকম জায়গায় কীভাবে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে, কী কাজ করতে হবে, কোন কোন জায়গায় দিয়ে গন্ধ শুঁকে ছানবিন করতে হবে, সেই বিষয়গুলিও তাদের দিয়ে ঝালিয়ে নেওয়া হচ্ছে । পাশাপাশি ঋত্বিক ও কাজলের ঘ্রাণশক্তির পরীক্ষাও আলাদা ভাবে করানো হচ্ছে।
এদিকে কাজল ও ঋত্বিকের হ্যান্ডালারের দাবি, বর্তমানে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ওদের দেওয়া বিশেষ প্রশিক্ষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিভিন্ন বোমা কিংবা বোমা জাতীয় মশলা, আইইডি-এর গন্ধ চেনানোর চেষ্টা । এছাড়াও দুস্কৃতীদের ধাওয়া করা, অভিযুক্তদের শরীরের ঘামের গন্ধ, জুতোয় লেগে থাকা বারুদকেও শনাক্ত করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ঋত্বিক ও কাজলকে ।