ব্যাপক গোলাগুলি কান্ড ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিসের নিকটে, আইনের ছাত্র-সহ অবশেষে গ্রেফতার হল মোট তিন জন অভিযুক্ত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম ব্যারাকপুরে ৷ এমনকি চলল পর পর গুলি ৷ তাও আবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিসের অদূরে বিটি রোডের উপরই । ঘটনার জেরে এদিন ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় লাটবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় অবশেষে তিন মদ্যপ যুবককে গ্রেফতারও করে পুুলিশ ৷ ধৃতদের নাম মহম্মদ আরমান আনসারি, মহম্মদ শাহবাজ আনসারি এবং বিশ্বজিৎ তিওয়ারি। এর মধ্যে মহম্মদ আরমান আইনের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে ৷ সেই চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে টিটাগড় থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে এদিন উদ্ধার হয় একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং দু’রাউন্ড কার্তুজ । কী কারণে দুই সঙ্গীকে নিয়ে ধৃত আরমান গুলি চালায়, তা অবশ্য স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে । অবশেষে এদিন তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এদিন গভীর রাতে তিন মত্ত যুবক একটি কালো রঙের স্করপিও গাড়িতে করে ব্যারাকপুর থেকে টিটাগড়ের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় বিটি রোডের উপর লাটবাগানের কাছে হঠাৎই একের পর এক গুলির শব্দ কানে আসে এলাকার লোকজনের। চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তাঁরা। বিষয়টি জানানো হয় টিটাগড় থানার পুলিশকে। এর পরই খবর যায় বিএন বসু হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীদের কাছে। তাঁরা স্করপিও গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, পুলিশকে দেখে গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে দেন চালক। শেষে গাড়ির পিছু ধাওয়া করে টিটাগড়ের টাটা গেটের সামনে থেকে পাকড়াও করা হয় তিন মত্ত যুবককে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ আরও জানতে পারে , ধৃত তিনজনই খড়দা থানা এলাকার বাসিন্দা। রবিবার রাতে স্করপিও গাড়িটি নিয়ে ব্যারাকপুর চিড়িয়া মোড়ের কাছে একটি পানশালায় যায় তারা ৷ সেখানে আকন্ঠ মদ্যপান করার পর গাড়িতে করে বাড়ির দিকে ফিরছিল তারা ৷ তখনই ঘটে এই ঘটনা ৷ সূত্রের খবর, যেখানে গুলি চলেছে সেই লাটবাগান এলাকার আশপাশে রয়েছে পুলিশের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস এবং আবাসন। পুলিশ কমিশনারের অফিসও খুব দূরে নয় ঘটনাস্থল থেকে ৷ সেই হাই-প্রোফাইল জোনে গুলি চলার ঘটনায় রাতের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন ৷ যদিও শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা।