মরণোত্তর চক্ষু দান করলেন টেবিল টেনিস জগতের ক্রীড়াগুরু ভারতী ঘোষ
নিজস্ব সংবাদদাতা : মরণোত্তর চক্ষু দান করলেন টেবিল টেনিস জগতের ক্রীড়াগুরু ভারতী ঘোষ।প্রয়াত হবার আগেই তিনি এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। বেশ কয়েক মাস যাবতই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তখনই তিনি এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন।ক্রীড়াজগত থেকে রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিরা তার চিকিৎসার সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। সম্প্রতি ২০ ফেব্রুয়ারি তার অসুস্থতার খবর শুনে তার বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন মেয়র গৌতম দেব। তার হস্তক্ষেপেই ভারতী ঘোষকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবশেষে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে ক্রীড়ামহলে। মরণোত্তর চক্ষু দান করেন তিনি । এরপর ওনার দেহ শেষ বারের মতো দেশবন্ধু পাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, তার পর দেশবন্ধু স্পোটিং ইউনিয়ন ক্লাবে ওনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান খেলা প্রেমী, সমাজ সেবী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলের মানুষেরা। এরপর কিরন চন্দ্র শ্বশান ঘাটে ওনার শেষ যাত্রা সম্পুর্ণ করা হয়। ওখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য ,২০২১ সালে ক্রীড়া দপ্তরের তরফে ‘ক্রীড়া গুরু’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। প্রশিক্ষকের তথাগতিত কোনো ডিগ্রি না থাকলেও ভারতী ঘোষ শুধু উত্তরের নন, রাজ্যের অন্যতম সেরা টেবিল টেনিস কোচ ছিলেন তিনি। এদিকে অর্জুন পুরুস্কার প্রাপ্ত মান্তু ঘোষ বলেন, “ভারতী দির প্রয়ান ক্রীড়াজগতের এক অপূরনীয় ক্ষতি হল । তার প্রশিক্ষণে অনেক তারকা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় উঠে এসেছে।” মেয়র গৌতম দেব বলেন, “খুব খারাপ লাগছে। তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বার্ধক্যজনিত অনেক সমস্যা ছিল। ক্রীড়াগুরু ও বঙ্গরত্ন সম্মানও পেয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যু সংবাদ খুব খারাপ লেগেছে আমার কাছে।”