মহিলারা যাতায়াত করতেন দুপুর হলেই , স্কুটির সিটের নীচেই চলত কারবার, অবশেষে খড়দহ-কাণ্ডে সামনে এলো বড় এক খবর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : খড়দহের রিজেন্ট পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল হাজার পিস কার্তুজ ও রিভলভার। জানা গেছে প্রত্যেকটিই ফ্যাক্টরি মেড। অর্থাৎ অস্ত্র লাইসেন্স থাকলে যে অস্ত্র কেনা যায়, সেই অস্ত্রই মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা মধুসূদনের ফ্ল্যাট থেকে। তবে কী করে ওই অস্ত্রগুলি এল মধুসূদনের কাছে? এদিন তার জোর তদন্তও চলে। আরো জানা গেছে গতকাল সোমবার খড়দহের রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। অভিজাত আবাসনের ভিতর এদিন কোথা থেকে এল ওই অস্ত্র, কী কারণে মজুত করা হয়েছিল, প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েও।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ মনে করছে, মধুসূদনের সঙ্গে আর্মস ডিলারদের যোগাযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের স্কুটিতে করেই অস্ত্র ও কার্তুজ ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন মধুসূদন। ডেলিভারিও করতেন তিনি নিজেই। স্কুটির সিটের নীচেই অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করতেন মধুসূদন। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও দাবি করেছেন, মধুসূদনের বাড়িতে দুপুরে মহিলারাও যাতায়াত করতেন। তাঁদের মাধ্যমেও অস্ত্র আনা-নেওয়া চলত বলেই পুলিশ মনে করছে। সেই কারণেই কি অস্ত্র কারবার সম্পর্কে কিছু আঁচই করতে পারেননি প্রতিবেশীরা! মহিলাদের যাতায়াত প্রসঙ্গে মধুসূদন দাবি করতেন যে তাঁরা কেউ বাড়ির কাজের মহিলা, কেউ বা রান্নার লোক। কিন্তু কিছুদিন পরপর সেই মহিলারা বদলে যেতেন! ঘটনার পর প্রতিমা মঞ্জিলের আবাসিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁকে আর কখনই এই ফ্ল্যাটে থাকতে দেওয়া হবে না। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবাসনে প্রবেশের প্রত্যেক গেটের তালাও বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মধুসূদন পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে যে সুদে টাকা খাটানোর ব্যবসা ছিল তাঁর। সুদের ব্যবসার লাভের টাকা দিয়েই অস্ত্র কারবারে নামেন তিনি। জেরায় মধুসূদন আরও জানায় পুরনো মুদ্রা জমানোর শখ ছিল তাঁর। পাশাপাশি বিক্রিও করতেন। নিজের বেআইনি কারবার জানাজানি হওয়ার ভয়ে কোনও জায়গায় সেভাবে বেশিদিন বসবাস করতেন না মধুসূদন, এমনটাই মনে করছে পুলিশ। আগে সোদপুরে থাকতেন তিনি, তারপর পানিহাটি, তারপর খড়দহে ফ্ল্যাটও কেনেন। এমনকি কোনও জায়গাতেই চার থেকে পাঁচ বছরের বেশি থাকতেন না তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *