মাঝরাতে চরম বিপদ নির্মীয়মাণ উড়ালপুলে উঠতেই, সামনে আর রাস্তা নেই, অবশেষে শূন্যে ঝুলে রইলো গাড়ি!
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গভীর রাতে নেপাল থেকে গোরখপুরের দিকে আসার পথে একটি গাড়ি নির্মীয়মাণ উড়ালপুলে উঠে যায়। কিন্তু, মাঝরাস্তায় হঠাৎ করেই শেষ হয়ে যায় উড়ালপুলের রাস্তা। শেষ মুহূর্তে জোরে ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। শেষমুহূর্তে কোনওমতে উড়ালপুলের কিনারায় গিয়ে অর্ধেক ঝুলতে থাকে গাড়িটি! গুগল ম্যাপে অবশ্য ওই উড়ালপুলের কোনও অস্বিত্ব দেখা যায়নি।
জানা গেছে গোরখপুর-সোনাউলি রুটের মাধ্যমে ভারত ও নেপালকে সংযুক্তকারী মহাসড়কটিতে বর্তমানে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। সেই কাজের অন্তর্ভুক্ত ফারেন্ডার ভাইয়ার কাছে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণও। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত একটা নাগাদ সোনাউলি থেকে গোরখপুরগামী গাড়িটি অন্ধকারে অসম্পূর্ণ ফ্লাইওভারের কাছে পৌঁছালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে চালক বিপদ বুঝে এত জোড়ে ব্রেক কষেছিল যে তার বিকট শব্দ শোনা যায়। যা শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং গাড়িটি আকাশে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। জানা গিয়েছে, গাড়ির যাত্রীরা অনেক চেষ্টায় ওই গাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। পুলিশ কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছালে খালি গাড়ি দেখে। পরেরর দিন সকাল নাগাদ, ফ্লাইওভার নির্মাণকারী সংস্থা গাড়িটি সরানোর জন্য একটি ক্রেনের ব্যবস্থা করে। গাড়ি নামানো হতেই তা নিয়ে পালায় যাত্রীরা। ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ফারেন্ডার এসএইচও প্রশান্ত পাঠক বলেন, “আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, তখন ওই গাড়ি যাত্রীরা চলে গিয়েছিলেন। আমাদের পৌঁছানোর আগেই তারা ক্রেনের সাহায্যে গাড়িটি সরিয়ে ফেলেন।”
এখন প্রশ্ন হল যে, এই দুর্ঘটনাটির জন্য দায়ী কে? নির্মাণ সংস্থার অবহেলা নাকি গুগল ম্যাপের ভুল নেভিগেশন? তবে, গুগল ম্যাপ পরিদর্শনে দেখা গেছে যে রুট ডাইভারশন স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুগল ম্যাপস সাইটে কোনও ফ্লাইওভারের উপস্থিতি নির্দেশ করছে না, তাহলে কেন নেভিগেশন অ্যাপকে দোষ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও জলঘোলা হচ্ছে বিস্তর পরিমানে।