যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরপিএফ ও জিআরপির মধ্যে আরও সমন্বয় আনতে আগ্রহী হল কেন্দ্র সরকার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনার জেরে এবার বিভিন্ন ট্রেন এবং স্টেশনে যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে উদ্যোগী হল রেলমন্ত্রক। সোমবার বিস্ফোরণের পরই দিল্লি তথা দেশের সবক’টি রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কিন্তু দিল্লি বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় এই ব্যাপারে আরও ‘ফুল প্রুফ’ পরিকল্পনা চাইছে রেল বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে আরপিএফ (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স) এবং জিআরপির (গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিস) মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় চাইছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, এর ফলে সাধারণ রেল যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বেশি আঁটোসাঁটো হবে।

প্রসঙ্গত, আরপিএফ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কাজ করলেও জিআরপি তা করে না। তারা রিপোর্ট করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে। আরপিএফ প্রধানত রেলের সম্পত্তি রক্ষা এবং রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলায়। অন্যদিকে, জিআরপি রেলওয়ে চত্বরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খেয়াল রাখে। অভিযোগ, যেসব রাজ্য ‘ডাবল ইঞ্জিন’ নয়, সেখানে অনেক সময়ই আরপিএফ এবং জিআরপির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ঘটে। তার ফল ভুগতে হয় সাধারণ রেল যাত্রীদের। রেল বোর্ড চাইছে, আরপিএফ এবং জিআরপির নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে কাজ করলে অনেক দ্রুত অপরাধীকে পাকড়াও করা সম্ভব হবে। সূত্রের খবর, যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
আরো জানা গেছে দেশব্যাপী রেল স্টেশনগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পর নিউদিল্লি, পুরনো দিল্লি, আনন্দবিহার টার্মিনাল, হজরত নিজামুদ্দিন এবং গাজিয়াবাদ—দিল্লি ডিভিশনের এই পাঁচটি স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ গিয়েছে নর্দার্ন রেলের কাছে।রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যাত্রী সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শীঘ্রই সবক’টি জোন ও ডিভিশনের আধিকারিকের সঙ্গেই হাইব্রিড মোডে জরুরি বৈঠক করতে পারেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রত্যেক স্টেশনে এই ইস্যুতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্টও চাওয়া হতে পারে।

