যুবসমাজে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ফুসফুসে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ! নেপথ্যে কি শুধুই ধূমপান না পরিবেশ দূষণও? উঠছে প্রশ্ন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : যত দিন গড়াচ্ছে ফুসফুসে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদ পড়ছে না যুবসমাজ (নারী ও পুরুষ উভয়) পর্যন্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, সমাজে ধূমপানের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে ফুসফুসে ক্যানসারের আধিক্য। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত ধোঁয়া এবং প্যাসিভ স্মোকার অর্থাৎ পাশের লোকের ধূমপানের কারণেও এই রোগের অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণও ফুসফুসে ক্যানসারের আরও একটি বড় কারণ।

পরিসংখ্যানগত দিক থেকে দেখলে বাৎসরিক হারে ধূমপানে (বিড়ি, সিগারেট বা যে কোনও রকম) ফুসফুসে ক্যানসারের পরিমাণ ৮০-৯০ শতাংশ। বাকি ১০-২০ শতাংশ ক্যানসার হয় নতুন বাড়ি, প্যাসিভ স্মোকিং, অ্যাসবেস্টস, সিলিকন, পরিবহন ইত্যাদি কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে ক্যানসারের বয়সসীমা ৫০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে। তবে বর্তমানে অতিরিক্ত ধূমপান ও পরিবেশ দূষণের কারণে যুব সমাজে, মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে এই রোগে আক্রান্তের হার ক্রমাগত বাড়ছে।উল্লেখযোগ্য বিষয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী এই ক্যানসারের চিকিৎসা মূলত চারটি প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। ১) রেডিয়েশন, ২) অপারেশন, ৩) ইমিউনো থেরাপি, ৪) ওষুধের মাধ্যমে- এই চার পদ্ধতিতে এই ধরনের কর্কট রোগের চিকিৎসা হয় বলে জানা যাচ্ছে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে।