রাজ্যের ১০০ কোটির দুর্নীতি মিড ডে মিলেও , সিবিআই-কে সুপারিশ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মিড ডে মিলে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ। রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রিপোর্ট যৌথ রিভিউ কমিটির। সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রাজ্যকে বিঁধতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হাতিয়ার সেই রিপোর্ট। সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ১৬ কোটির মিড ডে মিলে দুর্নীতি হয়েছে। ১০০ কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগ। জেলা থেকে আসা রিপোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রের রিপোর্টও মিলছে না বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, অতিরিক্ত পড়ুয়া দেখানো হচ্ছে রাজ্যের তরফে। পড়ুয়া উপস্থিতির হারও বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।
কখনও সাপ, কখনও বাঙ কিংবা টিকটিকি। প্রতন্ত গ্রামে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের বাচ্চাগুলো যখন দুপুরের খাবারটা মুখে তুলতে বসে, তখন তাতে দেখতে পায় ঝলসে যাওয়া টিকটিকি, সাপ-ব্যাঙদের। অনেকে খেয়েও ফেলে, অসুস্থও হয়। মিড ডে মিলে এভাবে সরীসৃপদের ঝলসানো দেহ পাওয়া গত কয়েক মাসে কার্যত নিত্য নৈমিত্তিক খবর হয়ে উঠেছে বাংলায়। সে খবর বারবার প্রকাশিত হয়েছে। কাঠগড়ায় উঠেছে প্রশাসন। খতিয়ে দেখার আশ্বাস মিলেছে, তবুও রোজনামচায় পরিবর্তন আসেনি। মিড মিল ইস্যুতে রাজ্যকে বারবার বিঁধেছেন বিরোধীরা।
এবার কেন্দ্রের তরফ যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতন। শিক্ষা, রেশন, চাকরি, মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোতে যে দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে, সে অধ্যায়ে নবতম সংযোজন মিড ডে মিল। বাচ্চাদের খাবারেও দুর্নীতি! রিপোর্ট কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে জমা পড়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে। যত সংখ্যক উপস্থিতির হার দেখানো হয়েছে, তার থেকে কম রয়েছে উপস্থিতি। কর্মদিবসের হারেরও গড়মিল। সেখানেও বেশি করে দেখানোর কথা রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ১৬ কোটি মিড ডে অতিরিক্ত ‘এস্টিমেশনে’ চলে গিয়েছে। এই মিড ডে মিলের দাম ১০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইতিমধ্যেই CAG কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সিবিআই-কেও মিড ডে মিল দুর্নীতিতে তদন্তের সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।