রাতে বিএলওর বাড়িতে হামলা, খড়দহ থানায় বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাতের অন্ধকারে বিএলওর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়দহে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মঙ্গলবার রাতেই খড়দহ থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার আক্রান্ত বিএলওর বাড়িতে আসেন বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তাঁরা আতঙ্কিত বিএলও ও তাঁর পরিবারের সদসস্যদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

জানা গেছে খড়দহ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্য সেন নগরের বাসিন্দা মানব চন্দ। তিনি রহড়ার এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। ওই ওয়ার্ডেরই ৪৩ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর কাজ নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে কোনও অসন্তোষ বা ক্ষোভ দেখা যায়নি। মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে একদল দুষ্কৃতী। এরপর জানালা লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। ঘরে ঢোকার মুখে গুটখার পিক ফেলে নোংরা করে। মানববাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেই চম্পট দেয় তারা। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ওয়ার্ডের অন্যান্য বিএলওর পাশাপাশি সূর্য সেন জনকল্যাণ সমিতির সদস্যরা খড়দহ থানায় যান। দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে জোরদার বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। কী কারণে এই হামলা, তা নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি এলাকাবাসীও ধন্দে। ব্যক্তিগত শত্রুতা, এসআইআরে নাম তোলা নিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, নাকি স্রেফ দুষ্কৃতী তাণ্ডব—পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অবশেষে খড়দহ থানার পুলিশ মানববাবুর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বয়ান সংগ্রহ করে।
মানববাবু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে বসে এসআইআরের কাজই করছিলাম। সেই সময় সদর দরজায় লাথি মারা শুরু হয়। এরপর ইট মেরে দোতলার জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এমনকি, সদর দরজার সামনে পান ও গুটখার পিক ফেলে নোংরা করা হয়েছে। কী কারণে হামলা, বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে পাড়ার বা বাইরের কারও কোনও শত্রুতা নেই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন। কাজের সূত্রে রাস্তাঘাটে বেরতেই হয়। আতঙ্কে রয়েছি।’ স্থানীয় কাউন্সিলার অর্পিতা দাশগুপ্ত বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এক মহিলা বিএলও আতঙ্কের কথা জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে আরও এক বিএলওর বাড়িতে হামলা হল। আমি চাই, পুলিশ আইন মেনে নিরপেক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।’ খড়দহের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এসআইআর নিয়ে বিএলওরা নানাভাবে বিপর্যস্ত। তার উপর তাঁদের বাড়িতে হামলা ও অত্যাচার কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ নিশ্চয়ই কড়া ব্যবস্থা নেবে।

