শতাব্দী প্রাচীন স্কুলগুলির ঐতিহ্যরক্ষায় এক বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের, সমস্ত ইতিহাস জানা যাবে একটা মাত্র ক্লিকেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শিক্ষার ঐতিহ্য বাংলা ও বাঙালির শিরায় শিরায় ছড়িয়ে রয়েছে ৷ এবার সেই ঐতিহ্যরক্ষায় উদ্যোগী হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৷ শুধু সংরক্ষণই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ঐতিহ্যের ইতিহাসও তুলে ধরতে চায় রাজ্য ৷ মঙ্গলবার বিধানসভায় সরকারের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সুকান্ত পালের একটি প্রশ্নের উত্তরে এই নিয়ে বিস্তারিত জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ তাঁর কথায়, এই প্রতিষ্ঠানগুলি কেবল শিক্ষাদানের ক্ষেত্র নয়, বাংলার শিক্ষার ইতিহাস ও বিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করছে । তাই এগুলির ঐতিহ্যরক্ষা করা সরকারের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ শুরু হয়েছে । চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩২০৫ টিরও বেশি শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়কে প্রায় ৬৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে ।’’ তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, এই স্কুলগুলির অধিকাংশই সরাসরি সরকারি নয় ৷ বরং সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত । ফলে প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে ।
এদিন বিধানসভায় ব্রাত্য বসু আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (ডিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়গুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য । পরে সেই তথ্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করা হবে । এর ফলে সাধারণ মানুষও রাজ্যের এই বিদ্যালয়গুলির ঐতিহ্য, গৌরব ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।’’ শিক্ষামন্ত্রীর মতে, শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়গুলির ভূমিকা শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও এই প্রতিষ্ঠানগুলি এক বিশেষ উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে । তাই আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি অতীতের এই ঐতিহ্যরক্ষা করা সমান জরুরি ।