শিলিগুড়িতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, আরজি কর নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিধলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে
শিলিগুড়ি শিলিগুড়ি: নির্দিষ্ট সময় থেকে বেশ কিছুক্ষণ পরে এসে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন আরজিকর ঘটনাকে নিয়ে। অধীর চৌধুরী জানান তৃণমূল কংগ্রেস আর জি কর নিয়ে ঘটনার আসল সত্যিটা চাপা দিতে চাইছে, না হলে এক মাস লাগবে কেন ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসল রহস্য জানেন, তাই তিনি যেভাবেই হোক নিজেকে এবং তার দলকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চাইছেন।
তিনি এও বলেন, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সব চালাকি বুঝতে পেরে গেছে, এইবার মুখ্যমন্ত্রী কোন ভাবেই আর পাবেন না। গোটা বাংলা জুড়ে যেখানে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব একে অন্যকে দোষারোপ করে চলেছেন। এ থেকেই বোঝা যায় দলটার অবস্থা ভিতরে ভিতরে কোন জায়গায় এসে পৌঁছে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তারদের সাথে যেভাবে কথাবার্তা চালাচ্ছেন তাতে মনে হয় তিনি এই ঘটনার তদন্ত শেষ করতে চান না, না হলে গতকাল ডাক্তারদের প্রস্তাবে তিনি কেন রাজি হলেন না ? একজন বাবা তার সন্তানকে হারালো, একজন মাও তার সন্তানকে হারালো, একমাত্র তারাই বুঝবেন সন্তান হারানোর কি জ্বালা, মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিয়ে ওই পরিবারের মুখ বন্ধ রাখতে চাইছেন, সেটা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। সিবিআই তদন্তএর শেষ দেখে ছাড়বে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করেন তার আর কিছু যাওয়ার নেই, কেন তিনি বারবার বলছেন? তিনি পদত্যাগ করবার জন্য তৈরি,,
অধীর চৌধুরী কড়া ভাষায় এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস শেষ সেদিন চলে আসছে, মানুষ যেদিন চেয়ার থেকে নামিয়ে দেবে, সেদিন বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল। বিজেপি এবং তৃণমূল একদল নামটাই আলাদা, এরা আসলে ভিতরে ভিতরে একে অন্যের সাথে মিলেমিশে কাজ করে, অধীর চৌধুরী এদিন জানান মানুষ এতদিন এদের চালাকি বুঝতে পারেনি, এবার বুঝে গেছে। দুজনেই সময় হলে টের পাবেন।