শিশুকন্যাকে খুন দিনের পর দিন সুচ বিঁধিয়ে, মা আর ‘প্রেমিক’-এর ফাঁসির আদেশ দিলো পুরুলিয়া আদালত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাটি ক্রমশ ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তাদের ‘প্রেম’-এর সম্পর্কে। তাই মা এবং তার ‘প্রেমিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাকে সরিয়ে দেওয়ার। চার বছর আগের সেই ঘটনায় আদালত ফাঁসির সাজা দিল নিহত শিশুর মা এবং তার ‘প্রেমিক’কে।
আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পুরুলিয়ার সুচ-কাণ্ডে নিহত শিশুর মা এবং তার ‘প্রেমিক’ দু’জনকেই। ষড়যন্ত্র করে সুচ ফুটিয়ে শিশুকন্যাকে হত্যার মামলায় শনিবারই দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পুরুলিয়ার একটি দ্রুত নিষ্পত্তি আদালত। সোমবার মামলাটির রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল সরকারি আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে। মঙ্গলবার আদালত ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে শিশুটির মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং তার ‘প্রেমিক’ সনাতন গোস্বামী ঠাকুরকে।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালের ১১ জুলাই মঙ্গলা সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছিল জ্বর ও সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছিলেন, সেই সময়েই একাধিক ক্ষত এবং আঁচড়ের চিহ্ন ছিল শিশুটির শরীরে । এমনকি তাঁরা জানিয়েছিলেন শিশুটির নিম্নাঙ্গে রক্তের দাগও ছিল বলে । ক্ষতের কারণ জানতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে এক্সরে করা হলে দেখা যায় সাতটি সূচ বিঁধে রয়েছে তার শরীরের ভিতর। কী ভাবে সুচ বেঁধানো হল, মঙ্গলার কাছে তার সদুত্তর মেলেনি তা জানতে চাওয়া হলেও। পরে দাবি করে, সে প্রাক্তন হোমগার্ড সনাতনের বাড়ির পরিচারিকা। সনাতনই ‘নির্যাতন’ চালিয়েছে তার মেয়ের উপরে। মঙ্গলবার আদালতে আগাগোড়া সনাতন নীরব ছিল ফাঁসির রায় শুনে। যদিও মঙ্গলা বারবার জানিয়েছে, সে নির্দোষ।