শুধুই নিজের পকেট ভরছেন… আমাদেরটা একটু দেখুন প্লিজ’, সল্টলেকের বাসিন্দাদের অধিকাংশই গর্জে উঠলেন ঠিক ভাষাতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সোমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণংদেহি মূর্তি দেখেছে বাংলা। পৌরসভাগুলোর কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে সল্টলেক, তথ্য় প্রযুক্তি নগরীও। সল্টলেকের কাউন্সিলরদের কাজ নিয়েও ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকে বয়স্ক মানুষের বসবাস কম নয়। সল্টলেকের পরিষেবা উন্নতির জন্যই বিধাননগর পৌরনিগম করা হয়। কিন্তু পরিষেবার উন্নতি হল কোথায়? ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে আসছে বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের একাংশই বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো ঠিকই বলেছেন। পরিষেবা কোথায়? শুধু পকেট ভরছেন কাউন্সিলররা।” পুর পরিষেবা নিয়ে এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার বাসিন্দারা।
দীর্ঘদিন ধরে বাগুইআটি-হাতিয়াড়া রোড-সহ রাজারহাট-গোপালপুরের একাধিক ওয়ার্ডের রাস্তার বেহাল দশা। নিকাশি ব্যবস্থ অনিয়মিত। বর্ষার আগে ডেঙ্গি প্রবণ এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে এখন থেকেই আতঙ্কিত এই পুর এলাকার বাসিন্দারা। সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, ইট-বালি-চুন-সুরকি দখল করে রেখেছে নাগরিকের হাঁটাচলার রাস্তা। নিকাশির লাইফলাইন বাগজোলা খালও দখল করে তৈরি হয়েছে কংক্রিটের নির্মাণ। বেআইনি নির্মাণ রাজারহাট-গোপালপুরে সহজলভ্য বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের এক জন বললেন, “এই পরিস্থিতিতে কাউন্সিলরদের প্রতি ভোটারদের আর্জি, আমাদের দিকেও একটু দেখুন প্লিজ!”
![](https://banglarkhabor.in/wp-content/uploads/2024/05/332769987_1629612934167629_1872748458816515128_n-1024x723.jpg)
এক বাসিন্দা বাজার করতে এসেছেন, তিনি বললেন, “বলার অনেক কিছুই রয়েছে। কিন্তু আমাকে এখানে বাস করতে হবে। কী বলব বলুন তো, মুখ্যমন্ত্রীর অনেক ক্ষমতা। কিন্তু আমরা তো সাধারণ মানুষ। আমাকে এখানে বাস করতে হবে। ” তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক ব্যক্তি। তিনি ১০ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। তিনি বললেন, “রাস্তাঘাট পরিষ্কার নয়। আমি যেখানে থাকি, সেখানে তো প্রচুর জল জমে। নোংরা পরিষ্কার রোজ হয় না। বিধাননগর কর্পোরেশন হওয়ার পর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।” আরেক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, “রাস্তাঘাট চূড়ান্ত খারাপ। হাতিয়াড়া দিকে রাস্তা মারাত্মক খারাপ। একটা খাল আছে, পরিষ্কার করলে করল, না করলে ওভাবেই থাকে। বর্ষা হলে ডুবে যায়। কাউন্সিলরের দেখা কেউ পান না। নির্বাচনের সময়ে সব পায়। এই যে লোকসভা নির্বাচন হল, কাউন্সিলর বাড়িতে এলেন। বললাম, ডেঙ্গু হচ্ছে, কিছু ব্যবস্থা করুন। চুন ছড়িয়ে গেল পরেরদিন। কিন্তু স্থায়ী কোনও সমাধান নেই। মুখ্যমন্ত্রী কাল বললেন, এতদিন কি তাঁর ঘুম ভাঙল? কে টাকা খাচ্ছে আর খাচ্ছেন না, মুখ্যমন্ত্রী জানেন না, এটা বললে বিশ্বাস করব না।”
রাজারহাটের বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, “রাস্তাঘাট ভিতরের দিকে খারাপ। তবে হলদিরামের ওখানে মারাত্মক জল জমে যায়। বৃষ্টি পড়লেই সব শেষ। কাউন্সিলররা যেন আমাদের দিকে একটু তাকান, ডে টু ডে পরিষেবাটা দেন। ” আরেক ব্যবসায়ী বললেন, “নিকাশি ব্যবস্থা খুব খারাপ। খুবই খারাপ। জল জমে।” আরেক যুবক বলেন, “রাস্তাঘাটে স্টোন চিপস, বালি সব পড়ে থাকে, রাস্তায় চলাফেরা করাই দায়।”