সফল হলো অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল এর গবেষণা, মহাকাশে ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করছে ভারত চিন্তায় পড়লো চীন ও পাকিস্তান
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল যুক্ত হলো ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে। আরো একবার অস্ত্ৰ ভান্ডার এর মাথায় উঠলো সাফল্ল্যর মুকুট। বুধবার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে নিক্ষেপ কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করেছে ভারত। আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় ‘মিশন শক্তি’ নাম দেওয়া হয়েছে এই বিপ্লবের । উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল বা এ-স্যাটের (A-SAT) এই অভাবনীয় সাফল্যের পরই পাকিস্তান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মহাকাশ যুদ্ধের ক্ষতিকর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিশ্বশান্তির বার্তা পাঠিয়েছে চিনও।
গতকাল বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘মিশন শক্তি’র সাফল্যের কথা ঘোষণা করেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণে তাঁর বক্তব্য ছিল, “স্থল, জল, আকাশ, সাইবার-এর পর মহাকাশ যুদ্ধেও ভারত এর আত্মপ্রকাশ ঘটলো মহাশক্তি হিসেবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারতের নাম উঠে গেছে অন্তরীক্ষ মহাশক্তির তালিকায় । দেশবাসীর কাছে এটা গর্বের মুহূর্ত।”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই পাক বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করা হয়, “মহাকাশ মানবজাতির ঐতিহ্য। কোনও ভাবেই যাতে এটি রণক্ষেত্রে রূপান্তরিত না হয়, তা দেখা সব রাষ্ট্রেরই কর্তব্য।” ভারতের নাম না করে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক জানায়, “অতীতে নিন্দার ঝড় উঠেছিলএই ধরনের গবেষণার বিরুদ্ধে” । আমরা আশা করবো সামরিক শক্তি প্রদর্শন যেন কোনও ভাবেই মানবজাতির বিপর্যয়ের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।” পাকিস্তানের উদ্বেগের পাশাপাশি সতর্কবার্তা প্ৰেরন করেছে চিনও। ২০০৭ সালে চিন অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফলতার সাথে।চিনের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “বিশ্বশান্তির রক্ষার জন্য কড়া নজর রাখছে চিন। আশা করব শান্তি বজায় থাকবে মহাকাশে। ”