হাওয়ালার মাধ্যমে আড়াই কোটির বেশি টাকা পাচার বাংলাদেশে ! ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ্যে এল ইডি ধরতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে বসবাস করতেন বাংলায়। এমনকি হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন ভারত থেকে বাংলাদেশে। এমনই একাধিক অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিশরপাড়া থেকে আজাদ মল্লিক ওরফে আহমেদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ধৃত ব্যক্তিকে গভীর রাতে নগর দায়রা আদালতের দশম সিজেএম কোর্টে পেশ করা হয়।
ইডির অভিযোগ, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফরেনার্স অ্যাক্টের একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আজাদ মল্লিক। এরপর ইডি দেখতে পায়, এই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এরপর গত মার্চের ২৬ তারিখ ইডি একটি কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করে। সকাল থেকে অভিযুক্ত আজাদ মল্লিকের এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিশরপাড়ার ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। রাতে গ্রেফতার করে তাঁকে আদালতে তোলা হয়।

আদালতে ইডি দাবি করে, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখনও বাংলাদেশে আছেন। প্রায় ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA ) ৩ এবং ৪ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত করে তাঁকে একদিনের ইডি হেফাজতে চাওয়া হয়।
এদিকে অভিযুক্তের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, অভিযুক্ত ভারতের বৈধ নাগরিক। পাসপোর্ট আছে। ভোটার কার্ড রয়েছে। এবং হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের কোনও প্রমাণই ইডির কাছে নেই। আজাদ মল্লিক, মল্লিক ট্রেডিং কর্পোরেশন নামে একটি ব্যবসায়িক সংস্থার কর্ণধার। ব্যবসায়িক কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু ইডি তাঁর কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু জানতে চায়নি।দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত কয়েক ঘণ্টার জন্য আজাদের ইডি হেফাজত মঞ্জুর করে। অবশেষে তাঁকে ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয়।