হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রার পাহারার দায়িত্বে অগণিত সাপ! রোমাঞ্চ নাকি অনন্য কোনো রহস্য? জেনে নিন এই মন্দিরের অজানা কথা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ছটি গুপ্ত দরজা রয়েছে মন্দিরে। অগণিত সাপ বেরিয়ে আসে প্রথম গুপ্ত দরজা খোলার পরে। এই ঘটনার বহু বছর পর দরজা খোলার পরে দেখা গেলো , হাজার হাজার সোনার মুদ্রা এবং মূর্তি সেখানে রয়েছে। মন্দিরটি বর্তমানে পরিগণিত হয় ভারতের অন্যতম একটি ধনী মন্দির রূপেই। পদ্মনাভস্বামী নামক এই রহস্যময় মন্দিরটি ভারতের কেরল রাজ্যে অবস্থান করছে। সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত রহস্যই থেকে গেছে মন্দিরটির রহস্যময় ছটি দরজার মধ্যে অবশিষ্ট এখনো একটি দরজা। দরজাটি বর্তমানে রয়েছে বন্ধ অবস্থাতেই।
২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়া হয় এই মন্দিরের দরজা খোলার। অবিশ্বাস্য তথ্য বেরিয়ে এল ছটি দরজার মধ্যে পাঁচটি দরজা খোলার পর। হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা এবং স্বর্ণমূর্তি রয়েছে দরজার পিছনে। এই মন্দির যদিও রাজ্যবাসীর কাছে রহস্যময় হলেও তাঁদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মন্দির পরিপূর্ণ গুপ্তধনে। তাঁদের বিশ্বাস অবশেষে সত্যিতে পরিণত হল মন্দিরের দ্বার উদঘাটনের পরেই। ষষ্ঠ যে দরজাটি আজও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে তার নাম ‘ভোল্ট বি’।
‘ভোল্ট বি’ এখন সবচেয়ে বেশি রহস্যের কারণ দুটি সাপের মূর্তি খোদাই করা রয়েছে দরজার উপরে। নেই এমনকি কোন চাবির গর্ত। দরজা খোলা যাবে কি উপায়ে একেবারেই তা অস্পষ্ট। লৌকিক প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী আমাদেরকে সতর্কতার বাণী প্রদান করে সাপের মূর্তি। পাহারায় রয়েছে সব বিষাক্ত সাপ। কারণ ১৯০৮ সালে যখন সর্বপ্রথম এই মন্দিরের দরজা খোলার চেষ্টা করা হয় তখন প্রথম অগণিত সাপ বেরিয়ে আসে দরজার ওপার থেকে। তারপর পুনরায় দরজা খোলা হয় ১৯৩১ সালে। যদিও এবারে আর সাপ নয় ,সেবার পাওয়া গেছিল প্রচুর সোনা। কিন্তু ওই সময়ে আর খোলা হয়নি বাকি দরজা গুলি কারণ মানুষ মনে করতেন, দরজার অন্তরালে রয়েছে কিছু দৈবিক জিনিস যা একেবারেই উচিত নয় সাধারণ মানুষের হাতে আসা।
এই ঘটনার আশি বছর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দরজাগুলি খোলা হলেও আঞ্চলিক জনসাধারণ খুলতে অনুমতি দেননি ৬নং দরজাটি। বারংবার এই কাজে তাঁরা বাধা প্রদান করেছে। তাঁরা আরও মনে করেন এই দরজা খোলা সম্ভব একমাত্র ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী। যিনি এই দরজা খুলতে পারবেন তাঁকে হতে হবে অত্যন্ত মহান এবং পবিত্র মানুষ। বর্তমানে আজও হয়নি সেই পবিত্র মানুষের জন্ম। এই বিশ্বাস নিয়েই কেরলের জনসাধারণ আয়োজন করেছিলেন একটি অনুষ্ঠান। যেখানে অংশগ্রহণ করেন কিছু ব্রাহ্মণ। তাঁদের বিশ্বাস অনুযায়ী ভগবান স্বয়ং বার্তা পাঠিয়েছেন ব্রাহ্মণদের দ্বারা, যে তিনি খুলতে চান না এই দরজা। যদি এই আদেশ অমান্য করা হয় তাহলে ভয়ঙ্কর প্রলয় ও ধ্বংসলীলা সৃষ্টি হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় হেরে গিয়েছে মানুষের জেদ ও বিশ্বাসের কাছে। বর্তমানে পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের ষষ্ঠ দরজা আজও রহস্য ও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে সমস্ত ভারতবাসী থেকে শুরু করে বিশ্ববাসীর কাছেও।