হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করেই মাথায় হাত পড়লো যুবকের, শহরে ফের সক্রিয় হল জামতাড়া গ্যাং
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শহরে ফের সক্রিয় জামতাড়া গ্যাং। একটি নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে কাস্টমার কেয়ারের নাম করে চলত প্রতারণা। কলকাতা ও ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকে এই আর্থিক প্রতারণা চক্র চালানো হত। এই প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা খোওয়ান গার্ডেনরিচের এক যুবক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১৮ জুলাই গার্ডেনরিচ থানায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন সন্দীপ কুমার আগরওয়াল নামে ওই যুবক। অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, একটি নামী ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট খুলেছিলেন প্রতারকরা। সেখানে গ্রাহকদের সাহায্যের জন্য একটি নম্বরও দেওয়া ছিল। গত ১১ জুলাই তিনি ওই নম্বরে ফোন করেছিলেন। নিজেকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে একজন ফোন ধরেছিলেন। অভিযোগ জানানোর জন্য সন্দীপের হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক পাঠান ওই ব্যক্তি। সন্দীপকে তিনি বলেন, এই লিঙ্কে ক্লিক করে তাঁর অভিযোগ জানাতে। সন্দীপ লিঙ্কে ক্লিক করতেই তাঁর মোবাইল হ্যাক হয়ে যায়। এরপর তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিকবার লেনদেন হয়েছে। এবং ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
ঘটনার তদন্তের স্পেশাল তদন্তকারী টিম গঠন করা হয়। তদন্তে তারা জানতে পারে, প্রতারকরা প্রতারণার টাকা দিয়ে দামি বৈদ্যতিন যন্ত্র কিনে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তদন্তে আরও উঠে আসে, কলকাতার পাশাপাশি জামতাড়া থেকেও এই গ্যাং পরিচালনা করা হয়। এরপর শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম মহম্মদ আরিফ খান, রাজা হাতি, মহম্মদ আহসান আলি এবং বিকাশ কুমার। আরিফ, রাজ এবং আহসান কলকাতার বাসিন্দা। বিকাশকে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দুমকায়। এদিকে তল্লাশি চালিয়ে ৩৯টি মোবাইল, আটটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক, তিনটি হাতঘড়ি-সহ একাধিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জান পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া একটি স্কুটি ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা এদিন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। জানা গেছে সবমিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের মূল্য ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা।