১১ জন দুর্গা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের খাদ্য ছায়া ক্যান্টিনকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

আলিপুরদুয়ার : ২০০১ সালে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক কাপড়ে আলাদা করে দেওয়া হয় গৌরী রায়কে। পরপর দুই মেয়ের জন্ম দেওয়াই ছিল তাঁর অপরাধ। সেখানেই চোখের জল ফেলে গৌরী থেমে যাননি। নিউ কোচবিহার চাঁপাগুড়ির সেই ঝুপড়ি ঘর থেকেই তাঁর নতুন পথ চলা। জেদকে সম্বল করে ২০০২ সালে স্থানীয় মহিলাদের নিয়ে তৈরি করেন অঙ্কুর মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠীই মঙ্গলবার কোচবিহার ডিএম অফিস চত্বরে ল্যান্সডাউন হলের দক্ষিণে খাদ্য ছায়া নামে একটি ক্যান্টিনের দায়িত্ব পেল। ব্যাংক থেকে ছয় লাখ টাকা লোন নিয়ে এই নতুন পথে পাড়ি দিলেন গৌরী, মমতা, সরস্বতী, মিনতি, মণি সহ মোট ১১ জন। ওই দলের সকলের গল্প গৌরীর মতো না হলেও অনেকটাই কাছাকাছি। হতদরিদ্র পরিবারের সেই মহিলারা নিজেদের চেষ্টায় আজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রত্যেকেরই এখন পাকাবাড়ি, সচ্ছল সংসার। কারও কাছে হাত না পেতে, লড়াই করে এই এগারো দুর্গা আজ সফল।

ডিআরডিসি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর মহেশ বর্মনএই খাদ্য ছায়া ক্যান্টিন উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশনের তরফে এখানে একটি ক্যান্টিন তৈরি হয়েছে। সরকারিভাবে চেয়ার-টেবিলও দেওয়া হয়েছে। অঙ্কুর মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের ছয় মাসের একটি চুক্তি হয়েছে। ছয় মাসে তাঁরা এই ক্যান্টিনটি লাভজনকভাবে চালিয়ে দেখাতে পারলে পরের ছ’মাসের জন্য আবার ক্যান্টিনটি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *