১৮ জন নিহত হল নয়াদিল্লিতে পদপিষ্টের ঘটনায়, কীভাবে ঘটলো এমন চরম মর্মান্তিক ঘটনা,জেনে নিন তার ৫ কারণ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : শনিবার নয়াদিল্লি স্টেশনে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। এদের বেশিরভাগই শিশু ও মহিলা। রাত দশটা নাগাদ ওই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে ১৩ নম্বর ও ১৪ নম্বর প্লাটফর্মের মধ্যে। ওইসময় মহাকুম্ভ গামী স্পেশাল ট্রেন দাঁড়িয়েছিল। সেখানে ওঠার জন্য মানুষজন ভিড় করেছিলেন। পাশাপাশি সেইসময় স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল আরও দুটি ট্রেন। সবেমিলিয়ে প্রবল ভিড় হয়েছিল স্টেশনে। কিন্তু কোনও কোনও মহলের দাবি একটি ঘোষণাতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। প্রথমদিকে রেল এটিকে পদপিষ্টের ঘটনা বলতে রাজি না হলেও পরে তার স্বীকার করে। ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছে বলা হলেও এখনওপর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেন ওই হুড়োহুড়ি তা নিয়ে অনেক মত রয়েছে তবে জেনে নিন সম্ভাব্য এই ৫ কারণ।

১.শেষ মুহূর্তে প্লাটফর্ম বদলের ঘোষণা : প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান শেষমুহূর্তে কুম্ভগামী ট্রেনের প্লাটফর্ম বদলের ঘোষণা করা হয়। তাতেই শুরু হয়ে যায় প্রবল হুড়োহুড়ি। নতুন প্লাটফর্মে পৌছতে মানুষজন দৌড়তে শুরু করেন। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে যান বহু মানুষ।

২ .১৫০০ টিকিট বিক্রি: এদিকে রেল সূত্রে খবর গতকাল ঘণ্টায় ১৫০০ বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। ফলে স্টেশনের যে ধারণ ক্ষমতা তার থেকে অনেক বেশি মানুষ ঢুকে পড়েছিলেন স্টেশনে। তার জেরেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।

৩. ভিড় সামাল দেওয়ার মতো ব্যবস্থা ছিল না : কুম্ভে লাখ লাখ মানুষ যাচ্ছেন। সেইদিক চিন্তা করে ভিড় সামাল দেওয়ার মত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রবল ভিড় সামাল দিতে বারবার মাইকে বিভিন্ন ঘোষণা করা হলেও কেউ কোনও কথা শোনেনি। তাদের থামাতেও পারেনি পুলিস।

৪. দুটি ট্রেনে দেরিতে ছাড়ে: স্বতন্ত্র সেনানী এক্সপ্রেস ও ভুবনেশ্বর রাজধানী দেরিতে চলছিল। ফলে ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্লাটফর্মে প্রচু যাত্রী ভিড়ি করেছিলেন। বেশি মানুষ ছিলেন ১৪ নম্বর প্লাটফর্মে। সেখান থেকেই প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। প্রায় চারটি ট্রেন না ছাড়ায় প্লাটফর্মে প্রচুর মানুষের ভিড জমে যায়।

৫. ব্রিজে ভাঙার গুজব : প্রবল অব্যবস্থার মধ্যেই রটে যায় একটি ফুট ওভার ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। এতেই হুড়োহুড়ি আরও বেড়ে যায়। যাত্রীদের অনেকেই ধাক্কাধাক্কি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। আর তাতেই ঘটে যায় এই চরম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *