এখন আর নেই ‘সত্যজিৎ রায়, নন্দলাল বসুর সেই শান্তিনিকেতন’, অমর্ত্য সেনের গলায় ঝরে পড়ল আক্ষেপের সুর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পরম্পরাকে সঙ্গী করে শান্তিনিকেতনে তাঁর বেড়ে ওঠা। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে সেই চেনা শান্তিনিকেতন যেন তাঁর কাছে অনেকটাই অচেনা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের খেদোক্তি, ‘সত্যজিৎ রায়, নন্দলাল বসুর যে শান্তিনিকেতনকে আমি চিনতাম, সেই শান্তিনিকেতন আর নেই।’ তাঁর শান্তিনিকেতন, বলা ভালো আপামর বাঙালির শান্তিনিকেতন মানেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক। বিশ্বকবির তৈরি অন্যধারার সেই শিক্ষালয়ে একদিন নিজেও পড়তেন অমর্ত্য সেন। সেই বিশ্বভারতীর সঙ্গে এখন তাঁর মাত্র কয়েক ডেসিমেলের জমি নিয়ে যত বিবাদ। বলা ভালো, তাঁর মত বিশ্ববরেণ্য অধ্যাপকের কাছে যেটা চূড়ান্ত অপমানজনক ব্যাপার। তবে, এতে অবাক নন অধ্যাপক সেন। এর পিছনে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘আজ যদি আমি বিশ্বভারতীর কোনও ত্রুটিও খুঁজে পাই, সেটা যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে কিছুটা আলাদা, তা কিন্তু নয়।’
কেন্দ্রের আর বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাঁর চূড়ান্ত টানাপোড়েন। আর, তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। এই পরিস্থিতিতে শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’তে বসে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অমর্ত্য সেন ফিরে গেলেন ছেলেবেলায়। তাঁর ছোটবেলার শান্তিনিকেতনে।