নতুন গাইডলাইন জারি হল অ্যাডিনোর বাড়বাড়ন্ত রুখতে, ARI ক্লিনিক চালু ২৪ ঘন্টার জন্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্যে উত্তরোত্তর অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। যার জেরে উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানে নয়া গাইডলাইন জারি করা হয়। আগামী সাতদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে, তারপর সরকার সতর্কীকরণের কথা ভাববে।
অ্যাডিনোর বাড়বাড়ন্তে নবান্নের গাইডলাইন
চালু হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-৩১৩৪৪৪-২২২
অসুস্থ শিশুকে রেফার করার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট কিংবা অধ্যক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।
আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা অ্যাডিনো ভাইরাস সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অভিযান চালাবেন।
৭দিন ২৪ ঘন্টা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত হাসপাতাল গুলিতে এআরআই অর্থাৎ পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ক্লিনিক চালু রাখতে হবে।
ভেন্টিলেশন সহ আইসিইউ, সিসিইউ প্রস্তুত রাখতে হবে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রত্যেক হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৫টি হাসপাতালকে পেডিয়াট্রিক হাব হিসেবে কাজে লাগানো হবে। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ প্রভৃতি।
আউটডোরের বাইরেও মেডিক্যাল কলেজে আলাদাভাবে ক্লিনিক থাকবে। সেখানে এমার্জেন্সিতে ২৪ ঘন্টা থাকবেন শিশুরোগ্য বিশেষজ্ঞরা।
এখনো পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসের পাকাপোক্ত কোন ওষুধ নেই। তাই এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি। শিশু থেকে বড়দের মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। ভিড় এলাকা একটু এড়িয়ে চলবেন। বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। বাইরে থেকে এলে পোশাক পরিবর্তন করে হাত মুখ ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন। মনে রাখবেন, অ্যাডিনো কিন্তু করোনার মতোই ছোঁয়াচে। এই সময়ে বড়দের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বড়দের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলে সেখান থেকে ছোটরাও সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে শিশু রয়েছে তাদেরকে এই সময় একটু বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। এই রোগের এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো ওষুধ নেই। জ্বর সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, পেটে ইনফেকশন, গলা ব্যথা, হাঁপানির মত সমস্যা দেখা দিলে বিন্দুমাত্র দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভাইরাল ভেবে ভুল করবেন না।