আদানি দুর্নীতির প্রতীক, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে নিশানা করে প্রবল ঝড় তুললেন কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচারে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আদানি বিজেপির দুর্নীতির প্রতীক। কর্নাটক নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আদানিকেই হাতিয়ার করলেন বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে । কোলারের সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র নিশানা করলেন মূলত আদানি নামক দুর্নীতি ইস্যুতে।
কর্নাটক নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রবিবার রাহুল গান্ধী সমাবেশ করেন কোলারে । এই কোলারের সমাবেশ থেকেই তিনি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন । যে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে লোকসভা থেকে। তাঁর উপর ঝুলছে শাস্তির খাঁড়াও।
আবারও সেই কোলার সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন আদানিকে শিখণ্ডি করে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আদানির দুর্নীতি ইস্যুটিকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর তীব্র আক্রমণ শানালেন কর্নাটকের জেলা সদর শহর থেকে ।
২০১৯ সালে কোলারের সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধী মোদী উপাধি সম্পর্কে এমন একটি মন্তব্য করেছিলেন, যার জন্য তিনি দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন অপরাধমূলক মানহানির জন্য । এমনকি কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর সংসদ সদস্য পদও । ২৯ মার্চ বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার পর কর্নাটকে তিনি সেই কোলারকেই বেছে নেন তাঁর প্রথম সফরের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে তিনি আদানি ইস্যুতে জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আদানি দুর্নীতির প্রতীক।” এদিন ‘জয় ভারত’ সমাবেশে ভাষণ দিয়ে রাহুল বলেন, কর্নাটকে এবার ফের ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেসই । কর্নাটকের মানুষ কংগ্রেসের উপর আস্থা রাখবেন বলে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস। উল্লেখ্য ,কর্নাটকে আগামী ১০ মে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রচারে নেমে রাহুল বলেন, এবার কর্নাটকের মানুষ বিজেপিকে জবাব দিতে তৈরি। আর কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সরকার গঠনের পরে তাঁরা প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাদের মূল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি অনুমোদন করবেন ।
রাহুলের কথায়, শুধু অনুমোদন করেই তাঁরা ক্ষান্ত থাকবেন না, তাঁরা প্রশস্ত করবে তা বাস্তবায়নের পথও । রাহুল গান্ধী বলেন, আমি খুব আনন্দিত যে, কংগ্রেস দল কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করছে। রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে এদিনের জনসভায় বক্তব্য রাখেন, মূলত এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কর্নাটকের সাধারণ সম্পাদক ইনচার্জ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-সহ সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা।