পর্ষদে গিয়ে ইন্টারভিউ নকল সার্টিফিকেট নিয়ে ! পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের চোখ ছানাবড়া হাতেনাতে ধরা পড়তেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কোটি কোটি টাকার চাকরি বিক্রির অভিযোগে এখন বেশ উত্তপ্ত বাংলা। গ্রেফতার হয়েছেন এমনকি শাসকদলের একের পর এক প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কও । কিন্তু তাতে সতর্ক হওয়া তো দূর, এক প্রার্থী জাল সার্টিফিকেট নিয়ে কাউন্সেলিংয়ে সরেজমিনে চলে এলেন বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে। এই আবহেও কীভাবে জাল সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতারণা করা সম্ভব, তদন্তকারী, দুঁদে কর্তারাও তাতে অবাক হচ্ছেন । মঙ্গলবার পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউ চলছিল মূলত ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের। সেখানেই ইন্টারভিউ দিতে ওই প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন। তাঁর যাবতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত সব নথি খতিয়ে দেখে আধিকারিকরা জানতে পারেন, ওই প্রার্থীর সার্টিফিকেট সম্পূর্ণ জাল। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী বাপ্পা দেবনাথকে গ্রেফতারও করে।
বাপ্পা দেবনাথের কাছ থেকে যে জাল সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর সই রয়েছে। সই দেখে অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না, তা আসল না নকল। যাঁরা প্রাথমিকে চাকরি করেন, তাঁদের ডিএলএড পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হয়। রাজ্যে একাধিক সরকারি-বেসরকারি ডিএলএড কলেজের নাম উঠেছে, যেগুলি কিনা দুর্নীতির আঁতুরঘর ছিল। সিবিআই তদন্তে তা উঠে এসেছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, জাল সার্টিফিকেটের একটা রমরমা ব্যবসা ছিল। তাতেও কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একটি ডিএলএড কলেজের নামে বাপ্পার অ্যাডমিট কার্ড, সার্টিফিকেট, রেজাল্ট রয়েছে, যা সবই ভুয়ো। এমনকি রেজিস্ট্রেশন নম্বরটাও ভুয়ো। অভিযোগ উঠছে, টাকার বিনিময়েই তাঁর সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে।
এই বিষয় পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আরও বলেন, “সার্টিফিকেট যে ভুয়ো নিয়ে এসেছিল, আমরা তা ধরতে পেরেছি। কারণ যাদের ডিএলএড সার্টিফিকেট রয়েছে, তাদের সমস্ত রেকর্ড রয়েছে আমাদের কাছে। আমরা কনফিডেনসিয়ালি মেনটেন করি। যে ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিল, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও ।”