ব্যাপক ভাঙচুর করা হল রাহুল গান্ধীর গাড়ির কাঁচে! কোথায় ঘটেছে? অবশেষে মুখ খুললেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিহার থেকে বাংলায় প্রবেশের পরই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর গাড়ির পিছনের কাচ ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয় মালদায় । যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুললেন বহরমপুরের সভায়। ওই ধরণের হামলা তিনি সমর্থন করেন না বলে এদিন জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি রাহুলের গাড়িতে কাচ ভাঙচুরের ঘটনা বাংলায় ঘটেনি বলেও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
এদিন বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হেলিকপ্টারে আসতে আসতে আমি মেসেজ পেলাম। কংগ্রেসের এক নেতা নাকি…, আচ্ছা রাহুলের নামটা বলেই দিই। ও আমার চেয়ে বয়সে ছোট। ওর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তারপর আমি খোঁজখবর করলাম। ওটা বাংলায় নয়, বিহারের কাটিহারে হয়েছে। কাচ ভাঙা অবস্থাতেই ওঁরা বাংলায় ঢুকেছেন। বিহারে বিজেপি-নীতীশ এক হয়েছে। ওদের রাহুলের উপর রাগ থাকতেই পারে।’
মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘আমি এ সব পছন্দ করি না। এ সব করে কী লাভ? আমি ঘটনার নিন্দা করছি। আমাদের এখানে যেন ওকটাও এ ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটে। শান্তিপূর্ণভাবে এখানে যেকোনও দল রাজনৈতিক কর্মসূচি করতেই পারে। তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই।’অর্থাৎ একদিকে যেমন এ রাজ্যে বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে তা বোধাতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই এই হামলার দায় কার্যত বিজেপি ও বিহার সরকারের উপর ঠেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বুধবার সকালে কংগ্রেসের‘ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা’ বিহারের কাটিহার থেকে ফের প্রবেশ করে পশ্চিমবঙ্গে। মালদায় ভিড়় নজরে পড়ে কংগ্রেসের এই কর্মসূচি ঘিরে। মালদায় হরিশ্চন্দ্রপুরে একটা ঢিল এসে পড়ে রাহুল গান্ধীর গাড়ির পিছনের কাচে। এমনকি দেখা যায়, একেবারে ভেঙে চুরমার গাড়ির কাচ। কীভাবে ঘটে ওই ঘটনা। এর জবাবে ওই গাড়িতে রাহুলের সহযাত্রী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এও বলেন, ‘গাড়িতে বসেছিলাম, কে ঢিল মেরেছে তা তো দেখতে পাইনি। তবে কারা ভাঙতে পারে আপনারাই বুঝে নিন ।’উল্লেখ্য , অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতি বেশ সরগরম হয়। এমনকি সরব হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও । এরপরই ওই ঘটনা বাংলায় ঘটেনি বলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলে দেন।