সকাল থেকেই শুরু যুদ্ধ, শিলিগুড়ির সব হোটেলেই এ যেন নিত্যদিনের লড়াই
শিলিগুড়ি : সকাল থেকে শুরু যুদ্ধ। কি রবিবার কি সোমবার, শিলিগুড়ির সব হোটেলেই শুরু হয়ে যায় বেচে থাকবার লড়াই। সবজী কাটা থেকে শুরু হয়ে মাছ কাটা, মাংশ নিয়ে আসা থেকে শুরু হয়ে সকালের খাবার বানানো। সবকিছুই থাকে। বড় বড় হোটেলগুলিতে কর্মচারীরা কাজ করতে শুরু করে দেন সকাল থেকেই, কিন্তুু ছোট ছোট হোটেলে? নিজেই মালিক এবং নিজেই কর্মচারী। শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি লাইন হোটেলে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় খদ্দেরের আনাগোনা, গাড়ি থামিয়ে যুদ্ব শুরুর আগে সকালের খাবার খেয়ে কাজে রওয়ানা দেন অনেকেই। সবাইকে ঠিকমত না দিলে আমাদেরও যেন সকালটা শুরু হয় না, জানালেন শিলিগুড়ি এনজেপী ষ্টেশনের এক হোটেল মালিক।
তিনি আরো জানান অন্য জায়গার থেকে আমাদের এই ষ্টেশনের হোটেলের ব্যাপারটাই অনেক আলাদা, এখানে সকাল সাত টার সময় ট্রেন থেকে নেমেও অনেক মানুষ ভাত চায়। সেইভাবেই আমাদের তৈরী হতে হয়। এটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ, কারন আমাদের আশি শতাংশ খদ্দের রেলের যাত্রী। কে কখন ভাত চাবেন রুটি চাবেন ঠিক নেই। যেখানে শিলিগুড়ির অন্য এলাকার হোটেলগুলিতে বেলা দশটা /এগারোটার আগে খদ্দের আসে না। তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটাই আলাদা। তবে আমাদেরও তৈরী থাকতে হয় বলে জানিয়েছেন তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলতে থাকে, রাতের লড়াই একেবারে অন্য,কারন রাতে থাকে শুধুমাত্র রুটির খদ্দের, রুটির সবকিছু তৈরী করতেই চলে যায় আমাদের সময়। জানিয়েছেন শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার এক ছোট হোটেল মালিক। সাথে সাথে তিনি জানিয়েছেন এটাই আমাদের জীবন। এইভাবেই চলতে হবে আমাদের।