আর জী করের ঘটনার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিলিগুড়ি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের মহিলা ডাক্তার এবং নার্সরা
শিলিগুড়ি : চলে গেছে বেশ কয়েকটি দিন, গোটা দেশে চলছে প্রতিবাদ সেই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন গোটা রাজ্যের ডাক্তার এবং নার্সেরা। শিলিগুড়ি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের ডাক্তার এবং নার্সেরা সমস্বরে প্রতিবাদ করছেন। তবে প্রতিবাদ করলেও রাত হলে আতঙ্ক ঘিরে ধরছে তাদের, কিছুতেই তারা মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না ওই ভয়ংকর ঘটনার স্মৃতি। শিলিগুড়ি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের মহিলা ডাক্তার এবং নার্সেরাও আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের এক মহিলা ডাক্তার জানালেন এইভাবে চললে চিকিৎসা করব কিভাবে? আমাদের তো ঘুম খাওয়া সবই চলে যাচ্ছে, একই অবস্থা শিলিগুড়ি হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারদের, তারাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। রাত হলেই ভয় বাড়ে তাদের।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের চারদিক সন্ধ্যা সাতটা বাজলে অনেকটা নিস্তব্ধ হয়ে যায়, আর সেই সাথে বেড়ে যায় আতঙ্ক, এদিকে হাসপাতাল রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত কিছুটা হলেও নিরাপদ, তবে অফার অঘটন ঘটতে কতক্ষণ লাগে? কেউ কি ভেবেছিল সেই বিভীষিকার রাত আসবে একজন মহিলা ডাক্তারের কাছে? তাই যানবাহন চলাচল করলেও স্বস্তি পান্না শিলিগুড়ি হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারেরা, অনেকেই জানিয়েছেন রাত দশটা পর্যন্ত ডিউটি করে বাড়ি হেরে অনেকেই, আবার অনেকে ডিউটির জন্য রাতেই থেকে যান হাসপাতালে, একেকজনের একেক রকমের সমস্যা একেক রকমের আতঙ্ক। আরজিকরের ঘটনা ঘটার পরে দিন সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল শিলিগুড়ি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ, কিন্তু এখন অবস্থা আবার যে কে সেই, নামে মাত্র পুলিশ দিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এবং শিলিগুড়ি হাসপাতাল।
মহিলা ডাক্তারেরা দাবি করেছিলেন পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হোক কিন্তু এখনো সেই কথা কোথাই থেকে গেছে। একই অবস্থা নার্সদের, কে কিভাবে বাড়ি ফিরে যাবেন বা যাচ্ছেন যাবেন না উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ, এবং শিলিগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হলে সম্মান হাতে নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। তাদের আক্ষেপ একটাই, জীবনে ঝুঁকি নিয়ে তারা চিকিৎসা করছেন পরিষেবা দিচ্ছেন, অথচ তাদের দেখবার জন্য কেউ নেই, সম্মান রক্ষার দায়িত্ব যে তাদের নিজেদেরই নিতে হবে।