আরজি করের সেই ঘর ভাঙা হয় কার নির্দেশে ? প্রকাশ্যে এল বড় নাম, এক মোড় ঘোরানো তথ্য তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর মামলায় প্রথম থেকেই একাধিক জলঘোলা। প্রথম থেকেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। শুরু থেকেই তথ্য প্রমাণ লোপাটেরও অভিযোগ। যে দিন মামলার দায়িত্বভার হাতে পায় সিবিআই, ঠিক তার আগেই ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ অর্থাৎ সেমিনার রুম চত্বর সংস্কারের নামে ভাঙা হয়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল, যা এই মামলার সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঘটনাস্থল যেখানে, সেই ঘর আর তার পাশের ঘর ভাঙতে হঠাৎই উদ্যোগী হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? কার নির্দেশেই বা এই ভাঙার নির্দেশ? সে প্রশ্ন উঠেছিল। দেখা যাচ্ছে, সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম-শৌচাগার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সেই নির্দেশনামায় সই রয়েছে সন্দীপের। আর নির্দেশনামা ১০ অগাস্টের। তিলোত্তমা খুন হন ৮ অগাস্ট মধ্যরাতে। তাহলে কীভাবে এত বড় ঘটনার পর ভাঙার নির্দেশ? আরজি করের সেমিনার রুম কার নির্দেশে ভাঙা হয়েছে, সে প্রশ্ন ওঠে আদালতেও। নির্দেশনামায় দেখা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষ পূর্ত বিভাগের সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। যেখানে এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তারপর কীভাবে ক্রাইম সিন ভেঙে ফেলা হল?সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই সিবিআই উল্লেখ করেছে, প্লেস অফ অকারেন্স থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্লেস অফ অকারেন্স ভাঙার নির্দেশও সম্পর্কিত। আদালতে ইতিমধ্যেই বিষয়টি উল্লেখ করেছে সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *