রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্দরে আর কী কী চলে ? ভিরমি খাবেন চিকিৎসক নেতার তথ্য জানলে !

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বাংলায়। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। অভিযোগের পর অভিযোগ প্রায় সর্বক্ষেত্রে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে যৌথভাবে বিক্ষোভ দেখায় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস ও IMA পশ্চিমবঙ্গ। রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠকে মেডিক্যাল কাউন্সিল সংক্রান্ত একাধিক ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্তারা। যার কারণে তাঁরা মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ার দাবিতে অনড়।

সংগঠনের তরফে ডা. মানস গুমটা বলেন, “রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী অবসর গ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়। এরপর প্রায় চার বছর কোনও বৈধ মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ ছাড়াই কাজ করছেন। তিনি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং বেতন-সহ সমস্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন। অন্যদিকে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ডা. সন্দীপ ঘোষকে কাউন্সিলের সভাপতি ডঃ সুদীপ্ত রায়ের মৌখিক আদেশে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তার জবাব দেওয়ার জন্য ডা. সন্দীপ ঘোষ এই নোটিস হাতে পেয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।”

সংগঠনের বক্তব্য, “ডা. সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল উপহাস ছাড়া কিছু নয়। কোনও নিয়ম মেনে তা করা হয়নি। কাউন্সিলের সভাপতি ডা. সুদীপ্ত রায়ের মৌখিক আদেশে এই কাজ করা হয়েছে। মূলত কাউন্সিল ও সরকারের মুখ রক্ষা করতে বা জনরোষ থেকে বাঁচাতে ঢাল হিসেবে এই তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, তিনজন কাউন্সিল সদস্য ডা. সুশান্ত রায়, ডা. কৌশিক বিশ্বাস এবং ডাঃ তাপস চক্রবর্তী মার্চ, ২০২৪ থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন যা একেবারেই বেআইনি। একজন সদস্য চলতি বছরে ৫ জানুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন। এই ক্ষেত্রে দু’মাসের মধ্যে নির্বাচন করার কথা। তা করা হয়নি।”

জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। এখান থেকেই পরিচালিত হয় ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’। নির্বাচনে জালিয়াতি করে উত্তরবঙ্গ লবিকে জিতিয়ে দেওয়া হয়। আরও নানা অপকর্ম চলে কাউন্সিলে। অবিলম্বে এই কাউন্সিল ভেঙে দিতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণে নির্বাচন পরিচালনা করার দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের এই সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *