অভিষেককে করা হোক ”এ রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী , বাংলার যুবরাজের হয়ে ফের ব্যাট ধরলেন এই তৃণমূল বিধায়ক
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিন কয়েক আগেই কসবায় কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। কোনও কারণে পিস্তল থেকে গুলি বেরোয়নি। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন ওই কাউন্সিলর। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে খাস কলকাতায় এমন রোমহর্ষক কাণ্ডে স্বভাবতই উদ্বেগে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল। এবার তাই পুলিশকে বাড়তি সতর্কতা নিতে স্পষ্ট নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলের।
এবার কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলিকাণ্ডের পর থেকে চূড়ান্ত তৎপরতা নিয়ে ফেলেছে পুলিশ। কলকাতা শহর জুড়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে চালু হয়ে গেছে নাকা চেকিং। রবিবার সন্ধ্যা থেকে চালু হয়ে গিয়েছে এই পুলিশি তৎপরতা। রাত ৬টা থেকে ৮টা এবং রাত ১টা থেকে রাত ৩টে। দুই পর্বে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। খাস কলকাতা শহরে এমন ঘটনায় উদ্বেগে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলও। সেই কারণেই প্রশাসনের একেবারে উপর মহল থেকে পুলিশকে কঠোর হাতে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের ঘটনা এড়াতে পুলিশকে যথোপযুক্ত সবরকম পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এবার এই পরিস্থিতিতে অভিষেককে উপমুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুললেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। ফুলটাইম পুলিশমন্ত্রী হিসাবে অভিষেককে চান তিনি। তাঁর মন্তব্য, ২০২৬ সালে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ডেপুটি করা হোক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশমন্ত্রী হিসাবেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “ফুলটাইমের একজন পুলিশমন্ত্রী থাকলে, আমার মনে হয়, তাঁর নজর এড়িয়ে কোনও অপরাধ সংগঠিত হবে না।” তাঁর যুক্তি, “অনেক সময়ে সিএম এত ব্যস্ত থাকেন, আমরা ইচ্ছা করলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি না, নিজেদের আবেদন নিবেদন সময় মতো পৌঁছতে পারি না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকটা দায়িত্ব নিয়ে নিলে, বাংলার মানুষ অনেকটা উপকৃত হবেন।” এমনটাই মনে করছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রী হিসাবে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সামলাতে পারছেন না? বিরোধীদের সেই দাবিই সমর্থন করলেন হুমায়ুন? প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে ইউসুফ পাঠানকে যখন প্রার্থী করা হয়েছিল, তখন বহিরাগত তত্ত্ব খাঁড়া করে সুর চড়িয়েছিলেন এই হুমায়ুনই । সে সময়ে তাঁকে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে ডেকে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর অভিষেকের বার্তা মেনে নিয়ে তিনিও ইউসুফের হয়ে ভোটপ্রচার করেছিলেন।
এদিন বিধানসভায় নিজের বক্তব্যের সমর্থনে হুমায়ুন কবির বলেন, “যোগ্য উত্তরসূরী যখন রয়েছে, তাঁদের মধ্যে যে কম্বিনেশন রয়েছে, তাতে অভিষেক যদি ডেপুটি সিএম হয়, স্বরাষ্ট্রদফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে বাংলার মানুষের মঙ্গল হবে। দলেরও ভালো হবে।” এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী-পুলিশমন্ত্রী পার্ট টাইমার। রাজ্য়ের অবস্থা তো দেখাই যাচ্ছে। কিন্তু হুমায়ুন কবির কেন বলছেন, কেউ তাঁকে দিয়ে বলাচ্ছে কিনা, এ সব প্রশ্নে গিয়ে আমাদের কোনো লাভ নেই।”