শুধুমাত্র পেশা নয়, নেশার টানে কুমারটুলিতে মূর্তি তৈরি করেন এই সরকারি আধিকারিক
নিজস্ব সংবাদদাতা : নেহাতই শখ পূরণ। সরকারি আধিকারিক হয়েও শখ পূরণে সন্ধ্যা হলেই কাদা-মাটি হাতে নেমে পড়েন প্রতিমা তৈরিতে। তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক সন্দীপ মহন্ত। সারাদিনের সরকারি কাজকর্ম সামলে সময় বের করে নিত্যদিন ছুটে যান রায়গঞ্জের কুমোরপাড়ায়। সেখানে রীতিমতো কাদা, মাটি মেখে একদিকে যেমন প্রতিমা তৈরি করেন। তেমনি রঙ, তুলি হাতে নিয়ে সাজিয়ে তোলেন প্রতিমার চোখ, কান, নাক, মুখের কাজ। শাড়ি, ধুতি পরিয়ে মাটির দলাতে রূপ দেন প্রতিমা। সন্দীপ বাবুর এমন দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা।
জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা সন্দীপ মহন্ত পেশায় জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক। বর্তমানে কর্মসূত্রে তিনি থাকেন রায়গঞ্জের রমেন্দ্রপল্লীতে। অফিসের যাবতীয় কাজ কর্ম শেষ করে ফিরে যান নিজের আস্থানায়। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর মোটরসাইকেল নিয়ে ছোটেন কুমোরটুলিতে। সেখানে পৌঁছে তুলে নেন প্রতিমার যাবতীয় দায়িত্ব। রঙ তুলি দিয়ে আঁকছেন প্রতিমার চোখ আঁকার পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির যাবতীয় কাজেই পারদর্শী সন্দীপবাবু। ইতিমধ্যেই এই কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে ফেলেছেন তিনি। সন্দীপ বাবু বলেন, ‘নেহাতই শখে শুরু করি এই শিল্প। পরবর্তী পর্যায়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই শিল্পই হয়ে যায় হাত খরচ জোগাড় করার মেশিন। এরপর চাকরি সূত্রে যেখানেই যাই না কেন, সেখানকার মৃৎশিল্প কারখানাই হয়ে ওঠে আমার অবসর সময়ের শখ পূরণের স্থান। তাই সময় পেলেই ছুটে আসি কাঞ্চনপল্লীতে। এদিকে অবিবাহিত সন্দীপ বাবুর হাতের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মৃৎশিল্পী গোবিন্দ পাল। তিনি এও বলেন, ‘সাহেব এখন আমাদের ঘরের লোক। যখন মাটির কাজ করেন, তখন জল, কাদা, মাটি, রঙ তিনি কিনে আনেন। সত্যি তার কাজে এবং ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ সবাই।