ট্যাব কেলেঙ্কারির পরে এবারে হাফিস লক্ষীর ভান্ডারের টাকা , ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো দিনহাটায়
নিজস্ব সংবাদদাতা : ট্যাব কেলেঙ্কারির পর এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও জামতাড়া গ্যাংয়ের আদলে সাইবার অপরাধীদের থাবা পড়েছে বলে সন্দেহ। দিনহাটায় এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের একাধিক উপভোক্তার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। কারও দু’বছর থেকেই অন্য অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে। আবার কারও গত চার মাস থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাচ্ছে। এরকম বেশ কিছু অভিযোগ ইতিমধ্যে মহকুমা শাসকের কাছে জমা পড়েছে। কিন্তু প্রশাসনের একাংশ অবশ্য অভিযোগগুলি ধামাচাপা দিতে চাইছে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে। এদিকে দিনহাটার মহকুমা শাসক বিধু শেখর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একটি-দুটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। সেগুলি আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য জেলাতে পাঠানো হয়েছে।’
গত কয়েকদিন ধরে ট্যাব কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমনকি ওই কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে দিনহাটার এক শিক্ষকের। ঠিক তার পরেপরেই দিনহাটায় একাধিক উপভোক্তার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে যাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যে লিখিতভাবে দুটি অভিযোগ জমা পড়েছে মহকুমা শাসকের করণে। তাঁদের মধ্যে একজন দিনহাটা বোর্ডিংপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেরিনা খাতুন। তিনি জানান, ২০২১ সালের শেষের দিকে তিনি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন জমা করেছিলেন।
সেখানে তিনি তাঁর পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসবইয়ের কপি জমা করেন। আবেদনের দীর্ঘদিন পরেও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কোনও টাকা ঢোকেনি। একাধিকবার চেক করলেও দেখা যায় অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই ঢোকেনি। এরফলে একসময় তিনি সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক তারপরেই এক প্রতিবেশীর কাছে জানতে পারেন অনলাইন ক্যাফেতে গিয়ে তাঁর আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে ট্র্যাকিং করা যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি একটি ক্যাফেতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ২০২২ থেকেই ঢুকছে। তবে সেটি তাঁর নির্দিষ্ট করা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নয়, তা ঢুকছে পোস্ট অফিসের একটি অ্যাকাউন্টে। মেরিনা বলেন, ‘আমার অ্যাকাউন্ট নয়। আমার পরিচিত কারও অ্যাকাউন্টও নয়। অন্য অ্যাকাউন্টে আমার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে। আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি মহকুমা শাসকের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি বলে জানিয়েছেন তিনি।