আপনার পেটেও চলে যায়নি তো হাই প্রেসারের জাল ওষুধ ? এক চরম আতঙ্ক তৈরি হল রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : জাল ওষুধ নিয়ে রাজ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আগেই। হাওড়া থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জাল ওষুধের সন্ধান মেলার পরই জানা যায়, মূলত উচ্চ রক্তচাপের বা হাই ব্লাড প্রেসারের ওষুধ ছিল সেখানে। বেশ কিছু ওষুধ বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এবার সেই ওষুধ নিয়ে আরও উদ্বেগের খবর জানাল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। তাদের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে প্রেসারের জাল ওষুধ চলে গিয়েছে প্রচুর মানুষের কাছে! যাদের বাড়ির কোন‌ও সদস্যের রক্তচাপের সমস্যা আছে, যারা রক্তচাপ কমানোর জন্য ওষুধ খান, তাদের মধ্যে অনেকেই টেলমা নামটির সঙ্গে পরিচিত। সেই টেলমা নামের ওষুধ নিয়েই যত গণ্ডগোল। ওষুধের ব্যাচ নম্বর ০৫২৪০৩৬৭। এই ব্যাচ নম্বরের রক্তচাপের ওষুধ জাল হয়ে রাজ্যের খোলা‌ বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল।

উল্লেখ্য গত ফেব্রুয়ারিতে আমতায়‌ হানা দিয়ে এক কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার জাল ওষুধের কারবারের সন্ধান পেয়েছিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেই বোর্ড। আসলে, ওই টেলমা নামক ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। আর সেই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হাওড়ার আমতা থেকে যে ওষুধ উদ্ধার হয়েছিল, তা জাল‌ই। এই রিপোর্ট আসার পরই তৈরি হয়েছে নয়া উদ্বেগ।

আরো জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে আমতায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ‌ টাকার জাল ওষুধের হদিশ পায় রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। এর মধ্যে মাত্র ২০ লক্ষ‌ টাকার‌ ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ হিসেব বলছে, বাকি ওষুধ ইতিমধ্যেই বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। চাপের মুখে কিউ আর কোড স্ক্যান করে সাধারণ মানুষকে নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে।

এদিকে এই খবরে চরম ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরাও। মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্বচ্ছতা বজায় রাখা উচিত। সেই সঙ্গে যারা অন্যায় করছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থাও করা উচিত। আবার চিকিৎসক শারদ্বত মুখোপাধ্যায় এও বলেন, “২০ কোটির জাল ওষুধ উদ্ধার হলেও আমি অবাক হব না। জাল ওষুধ এখন রোগীদের পেটে পেটে ঘুরছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *