বাংলা বলার মাশুল ! ফের হেনস্তা ভিন রাজ্যে, মুচলেকা দিয়ে অবশেষে মুক্তি পেলো এ রাজ্যের শ্রমিক

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের বাংলা বলার ‘অপরাধে’ ভিন রাজ্যে হেনস্তার মুখে পড়তে হল বাঙালি শ্রমিককে ! এবার ঘটনাস্থল হরিয়ানার গুরুগ্রাম। জানা গেছে কোচবিহার-১ ব্লকের জিরানপুরের বড়বালাসি গ্রামের বাসিন্দা সিরোজ আলম মিয়াঁ। বছর ৩৮’এর সিরোজ পেটের টানে গিয়েছিলেন গুরুগ্রাম। হোটেলে রান্নার কাজের পাশাপাশি একটি জিমেও কাজ করেন তিনি। বিকেলে কাজ সেরে ঘরে ফেরার পথে গুরুগ্রামের সেক্টর-৫৫ এলাকা থেকে হরিয়ানা পুলিস তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলাতেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন সিরোজ। তাঁর পরিচয়পত্র যাচাই করে, মুচলেকা লিখিয়ে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয় পুলিস। এদিকে সিরোজের বাবা জাহেরউদ্দিন মিয়াঁ স্থানীয় জিরানপুর এলাকায় পঞ্চায়েতের ট্যাক্স কালেক্টর ছিলেন। বয়স ৭২ বছর। রবিবার বিকেলে এই খবর পাওয়ার পর কোচবিহার কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয়েছিল সিরোজের পরিবার।

এরপর কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে তাঁরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে যান। অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পার্থবাবু বলেন, ‘সিরোজ আলম দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে গুরুগ্রামে হোটেলে কাজ করেন। তিনি কর্মসূত্রে সৌদি আরবেও পাঁচ বছর ছিলেন। বংশপরম্পরায় এখানে থাকেন।’ তারপরই খবর আসে, সিরোজকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, কোচবিহারের এই বাসিন্দা এবং তাঁর স্ত্রী, দু’জনেরই মোবাইল নিয়ে নিয়েছিল হরিয়ানা পুলিস। মুচলেকা দেওয়ার পর সেই দু’টি তাঁরা ফেরত পান। তবে সেক্টর ৫৫/৫৬ পুলিস সাফ জানিয়েছে, বাংলা বলার জন্য বা বাংলাদেশি সন্দেহে কোনও আটক বা গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি। পার্থপ্রতিম রায় রাতে জানান, ‘আমি জিরানপুরে ওঁদের বাড়ি গিয়েছিলাম। সেই সময় সিরোজ আলম মিঁয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *