পুজোর মুখে ফের জল ছাড়া বাড়াল ডিভিসি, ভরা মরসুমে প্লাবনের আশঙ্কা দামোদরের উপকূলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুজোর মুখে টানা বৃষ্টি ৷ প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডেও অতিবৃষ্টি ৷ দু’য়ের ফলায় ফের পুজোর মুখে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি বা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন ৷ দু’দিন পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে প্রায় ৪৩ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে বলে ডিভিস সূত্রে খবর ৷ যার জেরে উৎসবের মরশুমে সমস্যায় পড়তে পারেন দামোদর উপকূলবর্তী মানুষজন ৷

আর এই পরিস্থিতিতে চিন্তার মেঘ জমেছে প্রশাসনের কপালে ৷ এদিকে ২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, রবিবার মহালয়া ৷ ওই দিন পূর্বপুরুষের নামে তর্পণ করেন অসংখ্য মানুষ ৷ কিন্তু, খরস্রোতা দামোদরে কীভাবে তর্পণ হবে ! এখন সেটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে ৷ পাঞ্চেত জলাধার থেকে ২৬ হাজার কিউসেক এবং মাইথন থেকে ১৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৷গতকাল শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে এই জল ছাড়ার পরিমাণ প্রায় ৪৩ হাজার কিউসেক করা হয়েছে ৷ পুজোর আগে এই বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নতুন করে ৷ অন্যদিকে, রবিবার দিন মহালয়ায় রয়েছে তর্পণ ৷ লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় দামোদরের বিভিন্ন ঘাটে ৷ ডিভিসি-র জল ছাড়ার কারণে দামোদর কানায়-কানায় ভর্তি ৷ ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ দামোদরের খরস্রোতে যে কেউ ভেসে যেতে পারে ৷
এদিকে আসানসোলের মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা জেলার প্রশাসনিক কর্তারা, পুলিশ, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ এবং ব্লক স্তরের সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছি ৷ তাতে একদিকে যেমন তর্পণের বিষয় ছিল, অন্যদিকে দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জনের বিষয়টিও রয়েছে ৷ সেটা মাথায় রেখে বৈঠক করা হয়েছে ৷ যে সমস্ত ঘাটে বিপজ্জনক সীমায় জলস্তর বইছে, সেই ঘাটগুলিতে মাইকে ঘোষণা করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে ৷ এছাড়াও প্রত্যেকটি ঘাটে থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ ৷ সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা থাকবেন ঘাটে ৷ প্রশাসন সব রকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে ৷”