বন্যা-মন্থার জোড়া ফলা, মাঠেই নষ্ট আমন ধান-সবজি, দেরির আশংকা পোখরাজ আলু চাষেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অক্টোবরের শুরুতে বন্যার ধাক্কা ৷ আর এবার মন্থা-পরবর্তী নিম্নচাপের জেরে অতি ভারীবৃষ্টি ৷ দুইয়ের জোড়া ফলায় মাথায় হাত উত্তরবঙ্গের কৃষকদের ৷ অভিযোগ, মাঠেই নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ খরিফ শস্য ৷ হেক্টর-হেক্টর জমিতে জল জমে নষ্ট হয়েছে আমন ধান ও সবজি ৷ সেই সঙ্গে অসময়ের এই বৃষ্টিতে পোখরাজ আলু বা নতুন আলু চাষই শুরু করতে পারেননি চাষিরা ৷ ফলে সেখানেও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা ৷ ৫ অক্টোবর একরাতের বৃষ্টিতে সমগ্র উত্তরবঙ্গ প্লাবিত হয়ে যায় ৷ সাধারণ মানুষের জীবনহানি যেমন ঘটেছে, তেমনই জীবজন্তুও প্রাণ হারিয়েছে ৷ সমানভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন কৃষকরা ৷ কাঁচা অবস্থায় চাষের জমিতে জল জমে শস্য ও সবজি নষ্ট হয় ৷ তবে, যে সকল এলাকায় ধান ও শস্য বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল ৷ এবার সেখানেও বিপত্তি ৷ পাকা ধানে মই দিল গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টি ৷ গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা পাকা ধান নষ্ট হয়েছে জল জমে ৷ বিঘার পর বিঘা আমন ধান নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ ৷

অন্যদিকে, শীতকালীন সবজি যেমন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বীট, গাজর, বিভিন্ন রকমের শাকের জমিতেও জল জমেছে ৷ ফলে মাঠেই সেই সব শাক-সবজি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৷ এখন এই জল বের করে ধান, শাক-সবজি বাঁচানো সবচয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের কাছে ৷ তবে, মাঠে কেটে রাখা পাকা ধান বাঁচানো কোনও মতে সম্ভব নয় বলে দাবি করছেন একাংশ কৃষক ৷ সমানভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জলপাইগুড়ি জেলার বড় অংশের আলু চাষি ৷ এই সময়টা হল পোখরাজ বা নতুন আলু চাষের সময় ৷ কিন্তু, অনবরত বৃষ্টির জেরে আলু চাষের জন্য জমিকে তৈরি করতে পারেননি কৃষকরা ৷ কৃষি দফতর সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে আলু চাষের জন্য জমিকে প্রস্তুত করা শুরু হয় ৷ এরপর, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আলুর বীজ ছড়ানো হয় জমিতে ৷ সেই আলুর ফলন শুরু হয় ডিসেম্বর মাস থেকে ৷ কিন্তু, এ বছর জমিই প্রস্তুত করতে পারেননি কৃষকরা ৷

