৭০ বছরে পৌঁছে আজও নিরলস ও অক্লান্ত ভাবে ছুটে চলেছেন শিলিগুড়ির বাড়িন্দা সুকুমার ভাদুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা : ৭০ বছর বয়স হয়ে গেছে তার, তবুও বিশ্রাম নেননি তিনি। তার নাম সুকুমার ভাদুড়ি প্রথম জীবনে শিক্ষক ছিলেন, এবং পরে পূজা অর্চনায় মন দেন তবে তিনি বেশি পছন্দ করেন মানুষের সেবা করতে। সে তার নিজের ওয়ার্ড হোক, অথবা গোটা শহর শিলিগুড়ি, তিনি জানান আমি নিজে কখনো কোনদিন স্বার্থ নিয়ে ভাবিনি। আমি চাইনা আমার সমাজসেবা কে কেউ বড় করে দেখুক। ঈশ্বর আমাকে সেই সামর্থ্য দিয়েছেন, শক্তি দিয়েছেন যাতে আমি অসহায় এবং দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে পারি। আমি আজকের থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াইনি, বহু বছর ধরেই আমি এ কাজ করে চলেছি। যদি কারোর কোনো প্রয়োজন হয়, আর আমি সেটা জানতে পেরে কোনদিন পিছনে থাকেনি। শিক্ষকতা করতাম আমি, ছাত্রদের মানুষের মতো মানুষ হতে দেখে আমি আনন্দ পেয়েছি, যখন দেখেছি আমার ছাত্ররা এক এক জন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে, তখন নিজের মনে যে কি আনন্দ হয়েছে তা বলে বোঝাতে পারা যায় না। আমার কথা একটাই উপার্জন কম হোক বা বেশি, পায়ের তলা জমিটা যেন শক্ত থাকে। আর সত্যি কথা বলতে কি , যদি মানুষের উপকারই না করতে পারলাম তবে কিভাবে আমি মানুষ হিসাবে নিজেকে পরিচিতি দেব। মতো করে বড় হয়েছে আমার দুই কন্যা সন্তান। তারাও আমার মত কে সম্মান করে ভালবাসে। তবে আমি চাই মানুষের সেবা করতে, এর জন্য আমি কারো কাছে হাত পাতিনি, বা হাত পাততে পছন্দও করি না। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আমি সাহায্য করি দুস্থ দিন-দরিদ্রদের।

সুকুমার ভাদুড়ী আরো জানান এই কাজে আমার স্ত্রী অরুনা ভাদুরি সব সময় আমার পাশে থাকে, এখানে অনেকটাই তার কৃতিত্ব আছে। এই সাহস তো আমি পাই অনেকটা তার জন্যই। আজকের দিনে যখন মানুষ মানুষের পাশে থাকতে ভয় পায়, এড়িয়ে যায় তখন সুকুমার ভাদুড়ী অনেকটাই ব্যতিক্রমী। প্রকৃত শিক্ষিত যে তিনি, তার প্রমান তো এটাই। তিনি আরো জানালেন, যতদিন আমার বয়স এবং শক্তি আমাকে সাহায্য করবে ততদিন আমি মানুষের পাশে দাঁড়াবো। আর এটাই হবে আমার প্রকৃত কর্ম।

