ধর্ষণ করে খুন ন’বছরের শিশুকে, দুষ্কৃতীরা দেহ পুড়িয়ে দিল জোর করেই

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ন’বছরের এক শিশুকন্যা বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করত দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ার পুরানা নাঙ্গাল অঞ্চলে। সোমবার বিকালে তাদের বাড়ি শ্মশানের কাছেই জল আনতে গিয়েছিল দরিদ্র পরিবারের ওই শিশুটি। তারপর আর ফেরেনি।পরে সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ মেয়েটির মাকে ডেকে নিয়ে যায় শ্মশানের পুরোহিত রাধেশ্যামের পরিচিত কয়েকজন। তার মা দেখেন শ্মশানে পড়ে আছে মেয়ের মৃতদেহ। রাধেশ্যামের পরিচিত ব্যক্তিরা বলে, মেয়েটি বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়েছে কুয়োর থেকে জল নেওয়ার সময়। তার মা বলেন, মেয়ের কবজিতে ও কনুইয়ে পোড়া দাগ ছিল। এমনকি নীল হয়ে গিয়েছিল তার ঠোঁটও। পুরোহিত ও তার সঙ্গীরা মেয়েটির মাকে বলে, তিনি যেন পুলিশে কোনো খবর না দেন। তাদের যুক্তি ছিল, পুলিশে খবর দিলেই ময়না তদন্ত করা হবে। তাতে চুরি হয়ে যাবে দেহের নানা অঙ্গ । তার চেয়ে ঢের ভাল মেয়ের দেহের সত্‍কার করে ফেলাই।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, সম্ভবত কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছিল মেয়েটির বাবা-মাকে। অবশেষে তাঁরা রাজি হয়ে যান মৃতদেহ সত্‍কারেও। পরে অবশ্য মেয়েটির মা সব জানান স্থানীয়দের কাছে। শ্মশান ঘেরাও করে তাঁদের এলাকারই ২০০ লোক। খবর দেওয়া হয় এমনকি পুলিশকেও। সাউথ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের পদস্থ অফিসার প্রতাপ সিং জানান, রাত ১০ টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ ফোনে তাঁদের জানানো হয়, খুন করা হয়েছে একটি শিশুকে। তখন তাঁরা গ্রেফতার করেন শ্মশানের পুরোহিত ও তার তিন সঙ্গীকে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে শিশুদের যৌন হেনস্থা বিরোধী আইন ও তফসিলী জাতি-উপজাতিদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমন আইনে। তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *