আগুন ছাড়া তৈরী হচ্ছে খাবার, এক অভিনব ব্যবস্থা রায়গঞ্জে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

রায়গঞ্জ : কে না খেতে ভালোবাসেন, তেমনি যারা খেতে ভালোবাসেন, যারা খেতে ভালোবাসেন তেমনই নিজের হাতে রেঁধে মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যাটাও কিন্তু নেহাত কম নয়। এই রান্না করাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যান কেউ কেউ। আর যদি রন্ধন নিয়েই একটি উৎসবের আয়োজন করা যায় তাহলে কেমন হয়? না শুধু ভাবনাতেই নয় বাস্তবেই আজ এক মনোমুগ্ধকর ‘রন্ধন উৎসব’ অনুষ্ঠিত হল রায়গঞ্জের বানবোল হাই স্কুলে। যেখানে ঐতিহ্যবাহী খাবার থেকে শুরু করে সৃজনশীল রান্নার প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। পিঠে, পুলি, পায়েস, গাজরের পোলাও, খিচুড়ি এমনকি আগুন না দিয়েও রান্নার নানান পদ্ধতি এদিন জনসমক্ষে তুলে ধরেন ছাত্রছাত্রীরা।

উৎসবের সূচনায় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চন্দ্র নারায়ণ সাহা বলেন, ‘রন্ধনশিল্প আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের শিকড়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করতে চেয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছি।’ এদিন প্রতিটি শ্রেণী থেকে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের তৈরি খাবারের স্টল সাজায়। ৪০ রকমের খাবারের স্টল বসেছিল। একদিকে যেমন ঐতিহ্যবাহী পিঠেপুলির স্বাদ ছিল, অন্যদিকে তেমনই আগুন ছাড়া রান্নার মতো সৃজনশীল প্রচেষ্টাও প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিছু ছাত্রছাত্রী পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে রান্নার কৌশল প্রদর্শন করে। তবে পিঠে-পুলির স্টল ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়, যেখানে নারকেলের পুর দিয়ে বানানো পিঠের চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া। এদিন উৎসবের শেষে সেরা রান্নার জন্য পুরস্কারও প্রদান করা হয়। স্কুলের শিক্ষকদের মত, এই ধরনের উৎসব শুধু আনন্দই দেয় না, বরং ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা এবং ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতেও উদ্বুদ্ধ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *